Tuesday, 31 October 2017

বিয়ে করলেন তাসকিন



দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ শেষে আজ সকালেই দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ দল। বিমানবন্দরে ক্রিকেটারদের গোমড়া মুখ দেখে বোঝা যাচ্ছিল হারের ধাক্কা এখনো সামলে ওঠেননি তাঁরা।এমন থমথমে পরিস্থিতিতে একটা আনন্দের সংবাদ পাওয়া গেল তাসকিন আহমেদের সৌজন্যে। দেশে ফিরেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন বাংলাদেশ দলের পেসার।

তাসকিন গাঁটছড়া বেঁধেছেন তাঁর দীর্ঘদিনের প্রেমিকা সৈয়দা রাবেয়া নাঈমার সঙ্গে। রাতে বিয়ের বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন তাসকিন নিজেই। যদিও এ নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে চাননি ২২ বছর বয়সী পেসার। তাঁর বাবা আবদুর রশিদ অবশ্য বললেন, 'মেয়ে আগে থেকেই পছন্দ করা ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই বিয়ের আয়োজন করতে হল। পরে সুবিধাজনক সময়ে বড় করে অনুষ্ঠান করব।'

বিয়েতে সতীর্থদের দাওয়াত করেছেন তাসকিন। বিপিএল নিয়ে ব্যস্ততা থাকায় বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই উপস্থিত হতে পারেননি অনুষ্ঠানে। তবে মাশরাফি বিন মুর্তজা গিয়েছিলেন তাঁর পরিবারকে নিয়ে। বোঝাই যাচ্ছে বিয়ের আয়োজন চলছিল আগ থেকেই। মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের লালমাটিয়ায় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হয়।






Source File : http://www.prothom-alo.com/sports/article/1355691

শীত আসছে, ত্বকের যত্ন কিভাবে নিবেন জেনে নিন


শীতের আগমন ঘটেছে। তবে এই আগমনে ত্বকের যত্নে মাথায় রাখতে হবে বেশকিছু বিষয়, সতর্কতা। এ সময় চাই বাড়তি যত্ন। ত্বককে সুন্দর তরতাজা আর উজ্জ্বল রাখতে হলে অতিরিক্ত সূর্যরশ্মি অর্থাৎ অতিবেগুনি রশ্মি এড়িয়ে চলতে হবে। তা না হলে ত্বক বুড়িয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে একটি ছাতা বা টোকা জাতীয় টুপি ব্যবহার করা যেতে পারে। 
যারা এগুলোকে রুচিসম্মত মনে না করেন তারা যেকোনো একটি উত্কৃষ্ট সানস্ক্রিন লোশন বা ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। এখন প্রশ্ন আসতে পারে, কোন সানস্ক্রিন আপনি ব্যবহার করবেন? এ ক্ষেত্রে প্রথমেই আপনার ত্বকের রং বিবেচনায় আনতে হবে। যে ত্বকের রং যত সাদা সে ত্বক সূর্যালোকে তত বেশি নাজুক। সেই সঙ্গে শুরু হয়েছে ত্বকের নানাবিধ সমস্যা। তাই এখন থেকেই শুরু হোক ত্বকের বাড়তি যত্ন। এতে শীতের শুষ্কতা কমিয়ে ত্বককে করবে মসৃণ এবং স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।

শীত আসছে, ত্বকের যত্ন কিভাবে নিবেন জেনে নিন

ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করুন
শীতে ত্বকের যত্নের শুরুতে একটি ভালো ময়েশ্চারাইজার বেছে নিন। বাজার থেকে বাদাম তেল বা এভাকাডো সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার কিনুন। এগুলো ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা  বজায় রাখতে সাহায্য করে। যতবার ত্বক শুষ্ক মনে হবে ততবার ব্যবহার করুন।
সানস্ক্রিন ব্যবহার
শীত আসছে বলে ভাববেন না যে সানস্ক্রিন ব্যবহার করার প্রয়োজনীতা কমে গেছে। শীতকালেও বাইরে বের হওয়ার ৩০ মিনিট আগে এসপিএফ ১৫-৩০ সম্পন্ন সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
আর্দ্রতা বজায় রাখুন
শীতকালে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় মাঝে মাঝে মুখে পানির ঝাপটা দিন। সহজে ত্বক শুষ্ক হবে না।
অতিরিক্ত গরম পানি ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন
গোসলের সময় আরাম অনুভব হলেও অতিরিক্ত গরম পানি দিয়ে মুখ, মাথা ধোয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, অতিরিক্ত গরম পানি মুখের ত্বকের ফলিকলগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলে যা ত্বককে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। গোসলের সময় পানিতে কয়েক ফোঁটা জোজোবা বা বাদাম তেল দিয়ে নিলে তা ত্বককে আর্দ্র এবং মসৃণ করতে সহায়তা করে।
ভেজা ত্বকের পরিচর্যা করুন
গোসলের পর এবং প্রতিবার মুখ ধোয়ার পর ভেজা অবস্থায় ময়েশ্চারাইজার বা লোশন ব্যবহার করুন। এতে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে।
ঠোঁটের পরিচর্যা
কখনোই জিভ দিয়ে ঠোঁট ভেজানো উচিত নয়। কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল মধুর সঙ্গে মিশিয়ে ঠোঁটে লাগালে ঠোঁট কখনোই ফেটে যাবে না।
মেকআপ করার সময়
মেকআপ করার সময় লিক্যুইড ফাউন্ডেশন ব্যবহার করবেন না। শীতকালে ক্রিম ফাউন্ডেশন ব্যবহার করুন।
চুলের যত্ন
শীতকালে কখনোই ভেজা চুলে বাইরে বের হওয়া উচিত নয়। এতে করে চুলের আর্দ্রতা নষ্ট হয় এবং চুল ভেঙে যায়।
হ্যাট পরুন
চুল এবং মাথার তালুর আর্দ্রতা ধরে রাখতে হ্যাট পরুন। তবে হ্যাটটি যাতে বেশি টাইট না হয় সে দিকে খেয়াল রাখবেন।
হাত ও পায়ের যত্ন
হাত এবং পায়ের আর্দ্রতা ধরে রাখতে যতবার প্রয়োজন ততবার লোশন বা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।




সূত্র : https://www.blogger.com

ওজন কমাতে খান বাদাম || ওজন কমাবেন যে খাবারে

ওজন কমানোর ক্ষেত্রে অনেকেই বিভিন্ন ভুল করে থাকেন। খাবার খাওয়া বাদ দেন বা খুব কঠিন ব্যায়াম করেন। তবে সত্যি হলো, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসই ওজনাধিক্যের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। সম্প্রতি এক গবেষণার ফলে বলা হয়, যাঁরা খাদ্যতালিকায় নিয়মিত বাদাম রাখেন, তাঁদের ওজন কমে এবং ওজনাধিক্যের ঝুঁকিও কমে।

ইউরোপিয়ান জার্নাল অব নিউট্রিশনের বরাত দিয়ে জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের স্বাস্থ্য বিভাগে প্রকাশ হয়েছে এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন।
তবে অনেকে ধারণা করেন, বাদাম খেলে ওজন বাড়ে। তাঁরা ভাবেন, যাঁরা ওজন কমাতে চান, তাঁদের জন্য এই উচ্চ চর্বির খাদ্যটি ভালো নয়। তবে এ ধারণা বাতিল করে দিয়েছে সাম্প্রতিক গবেষণাটি।
সম্প্রতি করা গবেষণার ফলে আরো বলা হয়, বাদাম, যেমন : কাঠবাদাম, হ্যাজেলনাট, ওয়ালনাট, পিসটাচিওস, পিনাট ইত্যাদি ওজন কমায় এবং ওজন বাড়ার ঝুঁকি কমায়।
ইউরোপের ১০টি দেশে ২৫ থেকে ৭০ বছর বয়সের তিন লাখ ৭৩ হাজার ব্যক্তির ওপর এ গবেষণা চালানো হয়। গবেষকরা দেখেন, বাদাম কেবল ওজন কমায় না, পাঁচ ভাগ ওজন বাড়ার ঝুঁকিও কমায়।
যুক্তরাষ্ট্রের লোমা লিন্ডা ইউনিভার্সিটির ইনভেসটিকেটর ও ডিরেক্টর জোন স্যাব্যাট বলেন, ‘খাওয়ার সময় বাদাম খান। একে থালার মধ্যে রাখুন প্রাণিজ খাবারের বদলে।’
গবেষণার ফলে আরো বলা হয়, বাদাম শক্তির বড় উৎস। এর মধ্যে রয়েছে ভালো মানের চর্বি, প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল ও ফাইটোকেমিক্যালস।
তাই ওজন কমানোর ক্ষেত্রে খাদ্যতালিকায় বাদাম রাখার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

শাকিব খানের কত বছরের জেল হতে পারে?

 সম্প্রতি ‘রাজনীতি’ সিনেমায় নায়ক শাকিব খান একটি ফোন নম্বর ব্যবহার করেন। এরপর শুরু হয় সেই নম্বরের মালিক হবিগঞ্জের রাজমিস্ত্রি ইজাজুল মিয়ার কাছে একের পর এক ফোনকল আসা। ফোন দিয়ে সবাই শাকিব খানের সঙ্গে কথা বলতে চান।

এদিকে, মাসের পর মাস ধরে শাকিব খান মনে করে তার কাছে ফোনকল আসতে থাকায় তার ব্যক্তিগত জীবনে তা প্রচণ্ডভাবে প্রভাব ফেলে। তাই কোনো উপায় না পেয়ে গত ২৯ অক্টোবর শকিবসহ ‘রাজনীতি’ ছবির পরিচালক বুলবুল বিশ্বাস ও প্রযোজক আশফাক আহমেদের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জে মামলা করেন ওই রাজমিস্ত্রি।
এ বিষয়ে মামলার আইনজীবীরা বলছেন, বিনা অনুমতিতে শাকিব খানের সিনেমায় একজন অটোরিকশাচালকের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করা নৈতিকতা বিবর্জিত এবং সেই ব্যক্তি যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকেন তাহলে তার ক্ষতিপূরণ পাওয়ার অধিকার রয়েছে। আইনজীবীরা বলছেন,অভিযোগ প্রমাণ হলে শাস্তি সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড হতে পারে এ কাজে সংশ্লিষ্টদের।
মামলার আইনজীবী এম এ মজিদ একটি অনলাইনকে বলেন, ২০১৪ সাল থেকে ইজাজুল এই নম্বরটি ব্যবহার করছেন। সেটি বিনা অনুমতিতে একটি সিনেমায় ব্যবহার করে আমার মক্কেলের অনেক ক্ষতি করা হয়েছে। একদিকে তার আয় রোজগার ব্যাহত হয়েছে আরেকদিকে,পারিবারিক হয়রানির শিকার হয়েছেন তিনি। ফলে প্রতারণা ও মানহানি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এটি যদি এই উপমহাদেশের বাইরের কোনও ঘটনা হতো তাহলে বিনা অনুমতিতে একজনের ব্যক্তিগত নম্বর ব্যবহার করার অপরাধে সর্বোচ্চ শাস্তিই তাকে পেতে হতো। আমরা আশা করবো ন্যায়বিচার পাবো।
ব্যক্তিগত ফোন নম্বর ব্যবহার করায় ইজাজুলের কী ধরনের ক্ষতি হয়েছে এবং এমন প্রমাণ হলে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে প্রশ্নে এই আইনজীবী অনলাইনটির প্রতিবেদককে বলেন,এ মামলায় প্রতারণার অভিযোগে সর্বোচ্চ তিন বছর ও মানহানিতে সর্বোচ্চ দুইবছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। যদি মামলার রায় আমাদের পক্ষে আসে তখন আমরা আর্থিক ক্ষতির জন্য আবারও আরেকটি মামলা করতে পারবো। এটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া।
উল্লেখ্য, বিনা অনুমতিতে অন্যের ব্যক্তিগত কোনও তথ্যই অপর কেউ ব্যবহারের অনুমতি রাখেন না। মোবাইল টেলিফোন, ব্যাংকের চেক, বইয়ের লেখক হিসেবে নাম থেকে শুরু করে বাড়ির ঠিকানা―এর কোনটি যদি নাটক সিনেমা বা অন্য কোনও মাধ্যমে ব্যবহার করতে হয় তাহলে মালিকের অনুমতি অবশ্যই নিতে হবে।



Source File : http://bdexpress.uodoo.com/detail/1510193125573272

Monday, 30 October 2017

৪ হাজার টাকা বেতনেই কোটিপতি জামান

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) ইলেকট্রিশিয়ান সহযোগী হিসেবে ১৯৮৭ সালের ১২ মার্চ চাকরি শুরু করেন এ এস এম হোসাইনুর জামান। বেতন স্কেল ছিল ৯৬৫ টাকা। চতুর্থ শ্রেণির পদ থেকে দুই দফায় পদোন্নতি পেয়ে এখন চার হাজার ৭০০ টাকা বেতন স্কেলে পিডিবির ভাণ্ডাররক্ষক হিসেবে কাজ করছেন। এই বেতনে চার ছেলেমেয়েসহ ছয় সদস্যের পরিবারের ভরণপোষণ ও পড়াশোনার খরচ করে তেমন কোনো সঞ্চয় থাকার কথা নয়।

কিন্তু চাকরিজীবনের মাত্র ১৯ বছরেই কোটিপতি বনে গেছেন তিনি। পরিবারের সদস্যরাও বসবাস করছেন সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে। চট্টগ্রাম শহরে রয়েছে তার একটি সাততলা দৃষ্টিনন্দন বাড়ি, কুমিল্লার গ্রামের বাড়িতে রয়েছে দুই ইউনিটের একটি দ্বিতল ভবন, গ্রামে কিনেছেন সাত একর জায়গা-জমি, চট্টগ্রামের অভিজাত মার্কেটে আছে একটি দোকান। তা ছাড়া শেয়ারও রয়েছে শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারের।
কী করে সম্ভব এসব? দুদক চট্টগ্রাম কার্যালয়ের তদন্তকারী কর্মকর্তা উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সফিউল্লা বলেন, ‘অনিয়ম-দুর্নীতি করে ১৯ বছরে এক কোটি সাত লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী, পিডিবির ভাণ্ডাররক্ষক এ এস এম হোসাইনুর জামান। তদন্ত শেষে তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে তাদের অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। দুর্নীতিতে সহযোগিতা করায় তার স্ত্রী লুৎফর নাহারকেও মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে।’
অবশ্য অভিযুক্ত পিডিবির ভাণ্ডাররক্ষক এ এস এম হোসাইনুর জামান বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে অফিসিয়াল কোনো দুর্নীতির অভিযোগ নেই। জাতীয় বিদ্যুৎ শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় এ হয়রানিমূলক দুর্নীতির মামলাটি হয়েছিল।’ দুর্নীতির অভিযোগ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি সরাসরি কোনো উত্তর দেননি।
ভাণ্ডাররক্ষক জামানের বাবা মোখলেছুর রহমান রেলওয়ে বাংলাদেশের একজন পাম্পচালক ছিলেন। তেমন কোনো সম্পদও নেই তার। দুদকের তদন্ত শেষে চার্জশিটে তুলে ধরা হয়েছে, এ বেতনে সন্তানদের পড়াশোনা ও ছয় সদস্যের ভরণপোষণের পর জামানের বাড়তি অর্থ থাকা কঠিন। তারপরও পিডিবির ভাণ্ডাররক্ষক জামানের এক কোটি সাত লাখ ৩৯ হাজার ৩৭১ টাকার অবৈধ ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দালিলিক প্রমাণ পেয়েছে দুদক।
দুদক চার্জশিটে বলা হয়েছে, ১৯ বছরের চাকরিজীবনে জামান চতুর্থ শ্রেণির সরকারি কর্মচারী হিসেবে সাত বছর ও তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে ১২ বছর চাকরি করেন। এ সময় তিনি নিজের নামে ও স্ত্রী লুৎফর নাহার জামানের নামে চট্টগ্রাম শহরের হালিশহরের সবুজবাগ আবাসিক এলাকায় ‘আরিফ ভবন’ নামে দুই ইউনিটের সাততলা একটি বাড়ি (হোল্ডিং নম্বর ১৯৫৬) নির্মাণ করেছেন, যার মূল্য ৬২ লাখ ৬০ হাজার টাকা। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের গ্রামের বাড়িতে ১৩ দশমিক ৫ শতক জমি কিনে তিনি পাঁচতলা ফাউন্ডেশন দিয়ে ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে ডাবল ইউনিটের দ্বিতল বাড়ি নির্মাণ করেছেন, যার মূল্য ৩০ লাখ টাকা। এ ছাড়া গ্রামে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে তিনি ১০ লাখ টাকার সাত একর ৫৩ শতক জমি কিনেছেন।
চট্টগ্রাম শহরের কাজীর দেউড়িতে অবস্থিত ভিআইপি টাওয়ারের ১২৫ নম্বর নাহার শাড়িঘর নামে একটি দোকানের পজিশন কিনেছেন চার লাখ সাত হাজার টাকা দিয়ে। চট্টগ্রাম মাতৃভূমি কমিউনিটি সেন্টারের শেয়ার কিনেছেন দুই লাখ টাকা দিয়ে। ২০১৭ সালের ২৭ আগস্ট চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আদালতে জামান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সফিউল্লা। ২০০৬ সালের ১৮ মে নগরীর হালিশহর থানায় এ দুর্নীতি মামলা করা হয়। আসামিরা জামিনে গিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আদালতে অনুপস্থিত রয়েছেন বলে চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে। সমকাল

প্রতি রাতেই নগ্ন হতে হয় : কোয়েল মল্লিক

প্রতি রাতেই টলিপাড়ার সুন্দরীদের ‘পোশাক’ খুলতে হয়৷ বিস্ফোরক এই মন্তব্য করে টলিগঞ্জে আলোড়ন ফেলে দিলেন রঞ্জিত-কন্যা অভিনেত্রী কোয়েল মল্লিক৷ সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই বিস্ফোরক মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘প্রতি রাতেই আমাদের নগ্ন হতে হয়৷’ তাঁর এই কথার পরেই রীতিমতো হইচই পড়েছে রুপোলি জগতে৷

এদিনের সাক্ষাৎকারে নানা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন সাংবাদিকরা৷ তারই সুত্র ধরে সাংবাদিকরা জানতে চান, টলি অভিনেত্রী স্বস্তিকার সঙ্গে তাঁ সম্পর্ক কেমন? এর উত্তর দিতে গিয়েই কোয়েল বলেন, ‘আমার সঙ্গে ওঁর (স্বস্তিকা) সম্পর্ক কখনও খারাপ ছিল না৷ তবে কিছু সমস্যা হয়েছিল৷ সেটা সাময়িক? এখন তা এক্কেবারে স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে৷’

তিনি আবার স্বস্তিকার সঙ্গে অভিনয় করতে চান কি না? জানতে চাইলে টলিপাড়ার এই অভিনেত্রী বলেন, ‘ভালো কাজ থাকলে অবশ্যই করব৷ স্বস্তিকা খুবই সাহসী অভিনেত্রী৷ অনেক খোলামেলা৷ অভিনয়েও পারদর্শী৷ তবে, আমি অতটা করে উঠতে পারিনি৷ নতুন ভালো কিছু অফার পেলে অবশ্যই করব।’
এর পরই বিস্ফোরক মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘দেখুন প্রতিদিনই আমাদের নগ্ন হতে হয়৷ এতে লুকোচুরির কিছু নেই৷ তবে, আমাদের তো অভিনয়েই সব৷ সুতরাং অভিনয়ের জন্য নগ্নতাকে সামনে আনতেও কোনও অসুবিধা নেই৷’

Sunday, 29 October 2017

উচ্চতা অনুযায়ী আপনার ওজন কত হওয়া উচিত


উচ্চতা অনুযায়ী আপনার সঠিক ওজন কত, কতটুকু কম হলে আপনার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ- ওজন নিয়ে আমাদের সকলের মাথা ব্যথা। ওজন বাড়লেও সমস্যা আবার ওজন কম হলেও সমস্যা। চিকিৎসকরাও গুরুত্ব দেন ওজনের ওপরে।
মোটা রোগার থেকে শরীর সুস্থ রাখার ক্ষেত্রে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল সঠিক ওজন। আমরা না জেনেই শারীরিক গঠন রোগা না মোটা সেই অনুযায়ী ওজন বাড়ানোর বা কমানোর চেষ্টা করি। আর তাতেই সমস্যা হয় শরীরে।
তাই আমাদের জেনে রাখা দরকার কোন শারীরিক উচ্চতায় কোন ওজন সঠিক? আদর্শ ওজন নির্ণয়ের পদ্ধতিতে একজন ব্যক্তির ওজন কিলোগ্রামে মাপা হয় এবং উচ্চতা মিটারে মাপা হয়।
এবার ওজনকে উচ্চতার বর্গফল দিয়ে ভাগ করা হয়। এই ভাগফলকে বলে বিএমআই। বিএমআই ১৮ থেকে ২৪-এর মধ্যে হলে স্বাভাবিক।
২৫ থেকে ৩০-এর মধ্যে হলে স্বাস্থ্যবান বা অল্প মোটা, ৩০ থেকে ৩৫-এর মধ্যে হলে বেশি মোটা। আর ৩৫-এর ওপরে হলে অত্যন্ত ও অসুস্থ পর্যায়ের মোটা বলা যেতে পারে।
তাহলে জেনে নিন আপনার ওজন আপনার উচ্চতা অনুযায়ী সঠিক তো?
উচ্চতা ——পুরুষ (কেজি) —- নারী (কেজি)
►৪’৭” —— ৩৯-৪৯ —– ৩৬-৪৬
►৪’৮” —— ৪১-৫০ —– ৩৮-৪৮
►৪’৯” —— ৪২-৫২ —– ৩৯–৫০
►৪’১০” —— ৪৪-৫৪ —– ৪১–৫২
►৪’১১” —— ৪৫-৫৬ —– ৪২-৫৩
►৫ফিট —— ৪৭-৫৮ —– ৪৩-৫৫
►৫’১” —— ৪৮-৬০ —– ৪৫-৫৭
►৫’২” —— ৫০-৬২ —– ৪৬-৫৯
►৫’৩” —— ৫১-৬৪ —– ৪৮-৬১
►৫’৪” —— ৫৩-৬৬ —– ৪৯-৬৩
►৫’৫” —— ৫৫-৬৮ —– ৫১-৬৫
►৫’৬” —— ৫৬-৭০ —– ৫৩-৬৭
►৫’৭” —— ৫৮-৭২ —– ৫৪-৬৯
► ৫’৮” —— ৬০-৭৪ —– ৫৬-৭১
► ৫’৯” —— ৬২-৭৬ —– ৫৭-৭১
►৫’১০” —— ৬৪-৭৯ —– ৫৯-৭৫
►৫’১১” —— ৬৫-৮১ —– ৬১-৭৭
►৬ ফিট —— ৬৭-৮৩ —– ৬৩-৮০
►৬’১” —— ৬৯-৮৬ —– ৬৫-৮২
►৬’২” —— ৭১-৮৮ —– ৬৭-৮৪

Friday, 13 October 2017

'ব্লু হোয়েল গেম' থেকে বিরত থাকতে করণীয় || ব্লু হোয়েল গেম কি

অবসরে স্মার্টফোনে গেম খেলার পরিণতি এতটা ভয়ানক হতে পারে কদিন আগেও কে ভেবেছিল তা?  কিন্তু এখন ভাবতে হচ্ছে তা। সম্প্রতি বিশ্বজুড়ে আতংকের নাম হয়ে দাঁড়ানো ‘ব্লু হোয়েল’ গেম কেড়ে নিয়েছে অনেক তরুণ প্রাণ।

এর পরপরই মানুষ অনুধাবন করছে আপাত সাধারণ অনলাইন ভিত্তিক একটি গেমও কতটা মারাত্মক হতে পারে। আতঙ্কের পুরো নাম ‘ব্লু হোয়েল সুইসাইড গেম’। যেখানে একজনকে অতি সহজে বোকা বানিয়ে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায় গেমটির এ্যাডমিন। গেমটি খেলতে খেলতে ব্যবহারকারীরা এতটাই আসক্ত হয়ে পড়ছে যে এক সময় আত্মহত্যা করতেও হৃদয় কাঁপছে না তাদের।
পশ্চিমা ও ইউরোপীয় দেশগুলো ইতোমধ্যে এই গেমটির বিপক্ষে স্কুল কলেজসহ বিভিন্ন জায়গায় প্রচারণা চালাচ্ছে। তরুণ-তরুণীদের এ গেম খেলা থেকে বিরত রাখার জন্য রীতিমত চিন্তিত হয়ে পড়েছেন সেসব দেশের বিশেষজ্ঞরা।

'ব্লু হোয়েল গেম' থেকে বিরত থাকতে করণীয় || Blue whale Suic | Blue Whale ...

Thursday, 12 October 2017

ব্লু হোয়েল গেমে প্রদত্ত ৫০ দিনের কার্যসমূহ এক নজরে দেখেনিন

প্রানঘাতী এই ব্লু হোয়েল গেম গড়ে উঠেছে পরিচালকগণ এবং খেলোয়ারদের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্কের উপর ভিত্তি করে ৷ গেমের পরিচালকগন একটানা ৫০ দিন খেলোয়ারদের শ্রেনীবদ্ধ করনীয় কার্য প্রদান করে যা খেলায়ারদের প্রতিদিন অথবা অগ্রীম প্রদত্ত করা হয় যা খেলোয়ারকে নির্ধারিত সময়ের মাঝে শেষ করতে হয় ৷ এসকল কার্যের মাঝে নিজেকে আঘাত করা, অদ্ভুত সময় ঘুম থেকে উঠা, ভুতুড়ে ছবি দেখার মত কার্য অন্তর্ভুক্ত ৷ সর্বশেষ করনীয় কার্য হিসেবে গেমটির ৫০তম দিনে আত্নহত্যা করতে বলা হয় ৷ 

ব্লুহোয়েল গেমে প্রদত্ত ৫০ দিনের কার্যসমূহ: 

১. আপনার হাতে ক্ষুর দিয়ে “f57” লিখুন এবং পরিচালককে তার ছবি পাঠান।  

২. ভোর ৪.২০ এ উঠুন এবং পরিচালকের পাঠানো সাইকডেলিক এবং ভীতিকর ভিডিওগুলি দেখুন৷ 

৩. আপনার শিরা বরাবর একটি ক্ষুর দিয়ে কাটুন কিন্তু খুব গভীর না, শুধুমাত্র ৩ বার কাটতে হবে, কার্য শেষে পরিচালকে একটি ছবি পাঠান।  

৪. একখন্ডে কাগজে একটি তিমি অঙ্কন করুন এবং পরিচালকের নিকট, ছবি পাঠান।  

৫. আপনি যদি তিমি হতে প্রস্তুত হন, তাহলে আপনার পায়ে ক্ষুর দিয়ে “হ্যাঁ” লিখুন।  যদি প্রস্তুত না হন, নিজেকে অনেক অনেক বার ক্ষুর দিয়ে আঘাত করুন (নিজেকে শাস্তি দিন )।  
৬. সাংকেতিক ভাষা নিয়ে কাজ ৷ 

৭. হাতে ক্ষুর দিয়ে F40 লিখুন, পরিচালককে ছবি পাঠান।  

৮. আপনার VKontakte স্ট্যাটাসে “#i_am_whale” লিখুন ৷ 

৯. নিজের ভয়কে পরাস্ত করতে হবে ৷ 

১০. ৪.২০ এ জেগে উঠুন এবং একটি ছাদে যান (সবথেকে উচুঁ ভাল হবে) 

১১. ক্ষুর দিয়ে আপনার হাত উপর একটি তিমি অঙ্কিত করুন, পরিচালককে ছবি পাঠান।  

১২. পুরোদিন সাইকডেলিক এবং ভয়াবহ ভিডিও দেখুন ৷ 

১৩. পরিচালকের পাঠানো গান শুনুন।  

১৪. আপনার ঠোঁট কর্তণ করুন।  

১৫. একটি সুই দিয়ে আপনার হাতে বার বার খোচা দিন ৷ 

১৬. নিজে থেকে কষ্টদায়ক কিছু করুন, নিজেকে অসুস্থ করুন।  

১৭. আপনাপ খুঁজে পাওয়া সর্বোচ্চ উচু ছাদ যান এবং এর প্রান্ত গিয়ে কিছু সময়ের জন্য দাড়ান ৷ 

১৮. একটি সেতুতে যান, এক প্রান্তে দাঁড়ান ৷ 

১৯. একটি ক্রেন বেয়ে উঠুন বা অন্তত চেষ্টা করুন ৷ 

২০. পরিচালক বিচার করবে আপনি বিশ্বাসভাজন কিনা ৷ 

২১. স্কাইপে এখন তিমির সাথে কথা বলুন (আপনার মত অন্য কোনও খেলোয়াড়ের সাথে বা পরিচালকের সাথে )।  

২২. ছাদে যান এবং এর এক প্রান্তে পা ঝুলিয়ে বসুন ৷ 

২৩. সাংকেতিক ভাষা নিয়ে আরেকটি কাজ।  

২৪. গোপন কাজ ৷ 

২৫. একটি তিমির সঙ্গে বৈঠক করুন।  

২৬. পরিচালক আপনাকে আপনার মৃত্যুর তারিখ বলবে এবং আপনাকে এটি গ্রহণ করতে হবে।  

২৭. ৪.২০ উঠুন এবং রেলপথে যান (যে কোনও রেলপথ দেখুন যা আপনার নিকট পাবেন)।  

২৮. পুরোদিন কারো সাথে কথা বলা যাবে না ৷ 

২৯. শপথ করুন যে “আপনি একটি তিমি। ” 

৩০-৪৯. প্রতিদিন আপনি ৪.২০ জেগে উঠুন , ভুতুড়ে ভিডিও দেখুন, সঙ্গীত শুনুন যা “তারা” আপনাকে পাঠাচ্ছে ৷ প্রতিদিন আপনার শরীরে ১টি আঘাত করুন, এবং একজন তিমির সাথে কথা বলুন।  

৫০. নিজের জীবন নেও ৷