Thursday, 22 February 2018
Saturday, 17 February 2018
Thursday, 15 February 2018
Tuesday, 13 February 2018
ভালোবাসা দিবস কবে থেকে, কেন পালন করা হয়? ভালোবাসা দিবসের ইতিহাস
বিশ্ব ভালোবাসা দিবস পরিচিতি-
১৪ ই ফেব্রুয়ারি সারাবিশ্বে বেশ পরিচিত একটি নাম “বিশ্ব ভালবাসা দিবস” বা ”ভ্যালেন্টাইনস ডে”। একজন ভালোবাসা প্রেমী ও সচেতন মানুষ হিসাবে ”ভ্যালেন্টাইনস ডে” কি? এর পেছনের লুকানো ইতিহাস আসলে কি? আমি মনে করি একজন সচেতন মানুষ কোন কাজ করার আগেই সে কাজটি সম্পর্কে অন্ততঃপক্ষে সেটা জানার চেষ্টা করবেন। ”ভ্যালেন্টাইনস ডে” সম্পর্কে এখন বোধহয় পরিস্কার ধারনা থাকা অপরিহার্য হয়ে দেখা দিয়েছে।
ভালোবাসা দিবস কি?
এক নোংরা ও জঘন্য ইতিহাসের স্মৃতিচারণের নাম বিশ্ব ভালবাসা দিবস। এ ইতিহাসটির বয়স সতের শত সাঁইত্রিশ বছর হলেও ‘বিশ্ব ভালবাসা দিবস’ নামে এর চর্চা শুরু হয় সাম্প্রতিক কালেই। দুই শত সত্তর সালের চৌদ্দই ফেব্রুয়ারির কথা। তখন রোমের সম্রাট ছিলেন ক্লডিয়াস। সে সময় ভ্যালেন্টাইন নামে একজন সাধু, তরুণ প্রেমিকদেরকে গোপন পরিণয়-মন্ত্রে দীক্ষা দিত। এ অপরাধে সম্রাট ক্লডিয়াস সাধু ভ্যালেন্টাইনের শিরশ্ছেদ করেন। তার এ ভ্যালেন্টাইন নাম থেকেই এ দিনটির নামকরণ করা হয় ‘ভ্যালেন্টাইন ডে’ যা আজকের ‘বিশ্ব ভালবাসা দিবস’। বাংলাদেশে এ দিবসটি পালন করা শুরু হয় ১৯৯৩ইং সালে। কিছু ব্যবসায়ীর মদদে এটি প্রথম চালু হয়। অপরিণামদর্শী মিডিয়া কর্মীরা এর ব্যাপক কভারেজ দেয়। আর যায় কোথায় ! লুফে নেয় বাংলার তরুণ-তরুণীরা। এরপর থেকে ঈমানের ঘরে ভালবাসার পরিবর্তে ভুলের বাসা বেঁধে দেয়ার কাজটা যথারীতি চলছে। আর এর ঠিক পিছনেই মানব জাতির আজন্ম শত্রু শয়তান এইডস নামক মরণ- পেয়ালা হাতে নিয়ে দাঁত বের করে হাসছে। মানুষ যখন বিশ্ব ভালবাসা দিবস সম্পর্কে জানত না, তখন পৃথিবীতে ভালবাসার অভাব ছিলনা। আজ পৃথিবীতে ভালবাসার বড় অভাব। তাই দিবস পালন করে ভালবাসার কথা স্মরণ করিয়ে দিতে হয়! আর হবেই না কেন! অপবিত্রতা নোংরামি আর শঠতার মাঝে তো আর ভালবাসা নামক ভালো বস্তু থাকতে পারে না। তাই আল্লাহ তা‘আলা মানুষের হৃদয় থেকে ভালবাসা উঠিয়ে নিয়েছেন। বিশ্ব ভালবাসা দিবসকে চেনার জন্য আরও কিছু বাস্তব নমুনা পেশ করা দরকার দিনটি যখন আসে তখন শিক্ষাঙ্গনের শিক্ষার্থীরা বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তো একেবারে বেসামাল হয়ে উঠে। নিজেদের রূপা-সৌন্দর্য উজাড় করে প্রদর্শনের জন্য রাস্তায় নেমে আসে। শুধুই কি তাই ! অঙ্কন পটীয়সীরা উল্কি আঁকার জন্য পসরা সাজিয়ে বসে থাকে রাস্তার ধারে। তাদের সামনে তরুণীরা পিঠ, বাহু আর হস্তদ্বয় মেলে ধরে পছন্দের উল্কিটি এঁকে দেয়ার জন্য। তারপর রাত পর্যন্ত নীরবে-নিবৃতে প্রেমিক বা প্রেমিকার সাথে খোশ গল্প। এ হলো বিশ্ব ভালবাসা দিবসের কর্মসূচি! বিশ্ব ভালবাসা দিবস না বলে বিশ্ব বেহায়াপনা দিবস বললে অন্তত নামকরণটি যথার্থ হতো।
বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের উদ্ভব-
বেশ কয়েকটি গল্প পাওয়া যায় এই বিশ্ব ভালোবাসা দিবস এর। তার মধ্যে কয়েকটি
বলছি আমি………….
গল্প নং-১
রোমের সম্রাট দ্বিতীয় ক্লডিয়াস-এর আমলের ধর্মযাজক সেন্ট ভ্যালেনটাইন ছিলেন শিশুপ্রেমিক, সামাজিক ও সদালাপী এবং খৃষ্টধর্ম প্রচারক। আর রোম সম্রাট ছিলেন
বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজায় বিশ্বাসী। ঐ সম্রাটের পক্ষ থেকে তাকে দেব-দেবীর পূজা করতে বলা হলে ভ্যালেন্টাইন তা অস্বীকার করায় তাকে কারারুদ্ধ করা হয় সম্রাটের বারবার খৃষ্টধর্ম ত্যাগের আজ্ঞা প্রত্যাখ্যান করলে ২৭০ খৃস্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রীয় আদেশ লঙ্ঘনের দায়ে ভ্যালেন্টাইনকে মৃত্যুদন্ড প্রদান করেন।
গল্প নং-২
সেন্ট ভ্যালেন্টাইন কারারুদ্ধ হওয়ার পর প্রেমাসক্ত যুবক-যুবতীদের অনেকেই প্রতিদিন তাকে কারাগারে দেখতে আসত এবং ফুল উপহার দিত। তারা বিভিন্ন উদ্দীপনামূলক কথা বলে সেন্ট ভ্যালেন্টাইনকে উদ্দীপ্ত রাখত। এক কারারক্ষীর এক অন্ধ মেয়েও ভ্যালেন্টাইনকে দেখতে যেত। অনেকক্ষণ ধরে তারা দু’জন প্রাণ খুলে কথা বলত। এক সময় ভ্যালেন্টাইন তার প্রেমে পড়ে যায়। সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের আধ্যাত্মিক চিকিৎসায় অন্ধ মেয়েটি দৃষ্টিশক্তি ফিরে পায়। ভ্যালেন্টাইনের ভালবাসা ও তার প্রতি দেশের যুবক-যুবতীদের ভালবাসার কথা সম্রাটের কানে গেলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ২৬৯ খৃষ্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারি তাকে মৃত্যুদন্ড দেন।
গল্প নং-৩
খৃষ্টীয় ইতিহাস মতে, ২৬৯ খৃষ্টাব্দের কথা সাম্রাজ্যবাদী, রক্তপিপাষু রোমান সম্রাট ক্লডিয়াসের দরকার এক বিশাল সৈন্যবাহিণীর। এক সময় তার সেনাবাহিনীতে সেনা সংকট দেখা দেয়। কিন্তু কেউ তার সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে রাজি নয়। সম্রাট লক্ষ্য করলেন যে, অবিবাহিত যুবকরা যুদ্ধের কঠিন মুহূর্তে অত্যধিক ধৈর্যশীল হয়। ফলে তিনি যুবকদের বিবাহ কিংবা যুগলবন্দী হওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করেন। যাতে তারা সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে অনীহা প্রকাশ না করে। তার এ ঘোষণায় দেশের যুবক-যুবতীরা ক্ষেপে যায়। যুবক সেন্ট ভ্যালেন্টাইন নামের এক ধর্মযাজকও সম্রাটের এ নিষেধাজ্ঞা কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি। প্রথমে তিনি সেন্ট মারিয়াসকে ভালবেসে বিয়ের মাধ্যমে রাজার আজ্ঞাকে প্রত্যাখ্যান করেন এবং তার গীর্জায় গোপনে বিয়ে পড়ানোর কাজও চালাতে থাকেন। একটি রুমে বর-বধূ বসিয়ে মোমবাতির স্বল্প আলোয় ভ্যালেন্টাইন ফিস ফিস করে বিয়ের মন্ত্র পড়াতেন। কিন্তু এ বিষয়টি এক সময়ে সম্রাট ক্লডিয়াসের কানে গেলে সেন্ট ভ্যালেন্টাইনকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। ২৭০ খৃষ্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারি সৈন্যরা ভ্যালেন্টাইনকে হাত-পা বেঁধে টেনে-হিঁচড়ে সম্রাটের সামনে হাজির করলে তিনি তাকে হত্যার আদেশ দেন।
গল্প নং-৪
আরেকটি খৃষ্টীয় ইতিহাস মতে, গোটা ইউরোপে যখন খৃষ্টান ধর্মের জয়জয়কার, তখনও ঘটা করে পালিত হতো রোমীয় একটি রীতি। মধ্য ফেব্রুয়ারিতে গ্রামের সকল যুবকরা সমস্ত মেয়েদের নাম চিরকুটে লিখে একটি পাত্রে বা বাক্সে জমা করত। অতঃপর ঐ বাক্স হতে প্রত্যেক যুবক একটি করে চিরকুট তুলত, যার হাতে যে মেয়ের নাম উঠত, সে পূর্ণবৎসর ঐ মেয়ের প্রেমে মগ্ন থাকত। আর তাকে চিঠি লিখত, এ বলে ‘প্রতিমা মাতার নামে তোমার প্রতি এ পত্র প্রেরণ করছি।’ বৎসর শেষে এ সম্পর্ক নবায়ন বা পরিবর্তন করা হতো। এ রীতিটি কয়েকজন পাদ্রীর গোচরীভূত হলে তারা একে সমূলে উৎপাটন করা অসম্ভব ভেবে শুধু নাম পাল্টে দিয়ে একে খৃষ্টান ধর্মায়ণ করে দেয় এবং ঘোষণা করে এখন থেকে এ পত্রগুলো ‘সেন্ট ভ্যালেনটাইন’-এর নামে প্রেরণ করতে হবে কারণ এটা খৃষ্টান নিদর্শন, যাতে এটা কালক্রমে খৃষ্টান ধর্মের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে যায়।
গল্প নং-৫
অন্য আরেকটি মতে, প্রাচীন রোমে দেবতাদের রাণী জুনোর সম্মানে ১৪ ফেব্রুয়ারি ছুটি পালন করা হতো। রোমানরা বিশ্বাস করত যে, জুনোর ইশারা-ইঙ্গিত ছাড়া কোন বিয়ে সফল হয় না। ছুটির পরদিন ১৫ ফেব্রুয়ারি লুপারকালিয়া ভোজ উৎসবে
হাজারও তরুণের মেলায় র্যাফেল ড্র’র মাধ্যমে সঙ্গী বাছাই প্রক্রিয়া চলত। এ উৎসবে উপস্থিত তরুণীরা তাদের নামাংকিত কাগজের সিপ জনসম্মুখে রাখা একটি বড় পাত্রে ফেলত। সেখান থেকে যুবকের তোলা সিপের তরুণীকে কাছে ডেকে নিত। কখনও এ জুটি সারা বছরের জন্য স্থায়ী হত এবং ভালবাসার সিঁড়ি বেয়ে বিয়েতে গড়াতো। ঐ দিনের শোক গাঁথায় আজকের এই “ভ্যালেন্টাইন ডে”।
বাংলাদেশে ভালোবাসা দিবসের আবির্ভাব-
১৯৯৩ সালের দিকে বাংলাদেশে বিশ্ব ভালবাসা দিবসের আর্বিভাব ঘঠে। যায় যায় দিন পত্রিকার সম্পাদক শফিক রেহমান। তিনি পড়াশোনা করেছেন লন্ডনে। পাশ্চাত্যের ছোঁয়া নিয়ে দেশে এসে লন্ডনী সংস্কৃতির প্র্যাকটিস শুরু করেন। তিনি প্রথম যায় যায় দিন পত্রিকার মাধ্যমে বিশ্ব ভালবাসা দিবস বাংলাদেশীদের কাছে তুলে ধরেন। তেজগাঁওয়ে তার পত্রিকা অফিসে কেউ চাকরী নিতে গেলে না কি সাথে তার গার্লফ্রেন্ডকে নিয়ে যেতে হতো। প্রেমের যুগললবন্দী কপোত-কপোতীকে দেখে ওনি না কি খুব খুশী হতেন। অভিধা প্রথম ব্যবহার করেন শফিক রেহমান। এজন্য শফিক রেহমানকে বাংলাদেশে ভালবাসা দিবসের জনক বলা হয়।
ইসলামী শরীয়াত মোতাবেক ভালোবাসা দিবস-
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা আমাদের জন্য
ইসলামকে দ্বীন বা জীবন-ব্যবস্থা হিসেবে বাছাই
করেছেন এবং তিনি অন্য কোন জীবন-ব্যবস্থা কখনও গ্রহণ করবেন না, তিনি বলেন:
“এবং যে কেউই ইসলাম ছাড়া অন্য কোন জীবন-ব্যবস্থা আকাঙ্খা করবে, তা কখনোই তার নিকট হতে গ্রহণ করা হবে না, এবং আখিরাতে সে হবে ক্ষতিগ্রস্তদের একজন ৷” (সূরা আলে ইমরান, ৩:৮৫)
এবং নবী(সা.) বলেছেন, এই উম্মাতের মধ্যে কিছু লোক বিভিন্ন ইবাদতের প্রক্রিয়া ও সামাজিক রীতিনীতির ক্ষেত্রে আল্লাহর শত্রুদের অনুসরণ করবে ৷ আবু সাঈদ আল খুদরী(রা.) বর্ণিত যে রাসূলুল্লাহ(সা.) বলেন:
“তোমরা অবশ্যই তোমাদের পূর্ববর্তীদের অনুসরণে লিপ্ত হয়ে পড়বে, প্রতিটি বিঘৎ, প্রতিটি বাহুর দৈর্ঘ্যে [তাদের তোমরা অনুসরণ করবে], এমনকি তারা সরীসৃপের গর্তে প্রবেশ করলে, তোমরা সেখানেও তাদেরকে অনুসরণ করবে ৷” আমরা বললাম, “হে রাসূলুল্লাহ ! তারা কি ইহুদী ও খ্রীস্টান?”
তিনি বললেন: “এছাড়া আর কে?” (বুখারী, মুসলিম)
আজ মুসলিম বিশ্বের বহু স্থানে ঠিক এটাই ঘটছে, মুসলিমরা তাদের চালচলন, রীতিনীতি এবং উৎসব উদযাপনের ক্ষেত্রে ইহুদী ও খ্রীস্টানদের অনুসরণ করছে ৷ টিভি, পত্রপত্রিকা, ম্যাগাজিন, স্যাটেলাইট চ্যানেল, ইন্টারনেটের মত মিডিয়ার প্রচারে কাফিরদের অনুসৃত সমস্ত রীতিনীতি আজ মুসলিমদের ঘরে ঘরে পৌঁছে যাচেছ এবং এর অনুসরণ ও অনুকরণ সহজতর হয়ে উঠেছে ৷ মুসলিম সমাজে প্রচলিত এরূপ বহু অপসংস্কৃতির সাথে একটি সাম্প্রতিক সংযোজন হচেছ “ভ্যালেন্টাইন’স ডে”, যা “ভালবাসা দিবস” নামে বাঙালী মুসলিম সমাজের যুবক-যুবতীদের মাঝে ঢুকে পড়েছে এবং ক্রমে জনপ্রিয়তা লাভ করছে, পাশাপাশি বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক এ দিবসটি পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করছে ৷ এই নিবন্ধের উদ্দেশ্য হচ্ছে ইসলামের আলোকে এই ভালবাসা দিবসকে মূল্যায়ন করে বাঙালী মুসলিম সমাজের মুসলিম যুবক-যুবতীদের বোধশক্তি ফিরিয়ে আনার মাধ্যমে তাদেরকে কাফিরদের অন্ধ অনুসরণ থেকে নিবৃত্ত করা ৷ নিশ্চয়ই ইহুদী ও খ্রীস্টানসহ অন্যান্য কাফিরদের সংস্কৃতির অনুসরণের পরিসমাপ্তি ঘটবে জাহান্নামের আগুনে, তাই বর্তমান নিবন্ধের উদ্দেশ্য আমাদের যুবসম্প্রদায়কে জাহান্নামের পথ থেকে ফিরিয়ে জান্নাতের প্রশান্তির দিকে আহবান করা ৷
Monday, 5 February 2018
Sunday, 4 February 2018
টার্কি পালন-টার্কি সম্পর্কে গুরত্বপূর্ণ তথ্য / টার্কি পলনের A to Z
টার্কি পলনের A to Z
টার্কির (Turkey) প্রজাতিগুলি:
১) ব্রড ব্রেস্টেড ব্রোঞ্জ
পালকের মূল রং কালো, তামাটে নয়৷ মাদী পাখির বুকের পালকের রং কালো, ও তার ডগাগুলি সাদা হয়, যার দরুন মাত্র ১২ সপ্তাহ বয়সেই লিঙ্গ নির্ধারণ করা যায়৷
২) ব্রড ব্রেস্টেড হোয়াইট:
এটি ব্রড ব্রেস্টেড ব্রোঞ্জ ও হোয়াইট হল্যাণ্ডের সংকর যার পালকগুলি সাদা হয়৷ সাদা পালকের টার্কির গরম সহ্য করার ক্ষমতা বেশি ও সেই সঙ্গে পালক ছাড়ানোর পরে এদের পরিষ্কার ও ভাল দেখায়৷
৩) বেল্টসভিল স্মল হোয়াইট:
এটি রং ও আকারে ব্রড ব্রেস্টেড হোয়াইট প্রজাতির খুবই কাছাকাছি তবে আয়তনে ছোট৷ ভারী প্রজাতিগুলির তুলনায় এদের ডিম দেওয়া, উর্বরতা ও ডিম ফোটার পরিমাণ বেশী হয় এবং ডিমে তা দেওয়ার ঝোঁক কম হয়৷
৪) নন্দনম টার্কি
নন্দনম টার্কি – প্রজাতিটি কালো দেশী প্রজাতি ও বিদেশী বেল্টসভিল স্মল হোয়াইট প্রজাতির শংকর৷
টার্কির (Turkey) খাবার দেওয়ার পদ্ধতিগুলি :
- মুরগীর তুলনায় টার্কির শক্তি, প্রোটিন ও খনিজের প্রয়োজন বেশি৷
- যেহেতু পুরুষ ও মাদীর ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় শক্তির(এনার্জি) পরিমাণ আলাদা, তাই ভাল ফল পাওয়ার জন্য তাদের পৃথক ভাবে পালন করতে হবে৷
- খাবার ফীডারে দিতে হবে, মাটিতে নয়৷
- যখনই এক রকম খাবার থেকে অন্য খাবারে পরিবর্তন করা হবে তা যেন আস্তে আস্তে করা হয়৷
- টার্কিদের সব সময় অবিরাম পরিষ্কার জলের জোগান দরকার হয়৷
- গ্রীষ্মকালে আরও বেশী সংখ্যায় ওয়াটারার রাখুন৷
- গ্রীষ্মকালে দিনের অপেক্ষাকৃত ঠাণ্ডা সময়ে টার্কিদের খাবার দিন৷
- পায়ের দুর্বলতা এড়াতে দিনে 30-40 গ্রা. হারে ঝিনুকের খোলার গুঁড়ো দিন ৷
সবুজ খাদ্য:
নিবিড় পদ্ধতিতে, ড্রাই ম্যাশ হিসাবে মোট খাদ্যের 50% পর্যন্ত সবুজ খাবার দেওয়া যায়৷ সব বয়সের টার্কির জন্য টাটকা লুসার্ন প্রথম শ্রেণীর সবুজ খাদ্য৷ এছাড়া খাবারের খরচ কম করার জন্য ডেসম্যান্থাস ও স্টাইলো কুচি করে টার্কিদের খাওয়ান যেতে পারে৷
.........................................................................................................
মাংস উৎপাদনের জন্য টার্কির সাতটি আদর্শ জাত রয়েছে। পাখিজাতীয় মাংস উৎসের মধ্যে মুরগি, হাঁস, তিতির, কোয়েলের পর টার্কি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। টার্কির মাংস অন্যান্য পাখির মাংস থেকে কম চর্বিযুক্ত, তাই অন্যান্য পাখির চেয়ে টার্কির মাংস অধিক পুষ্টিকর।পশ্চিমা দেশগুলোতে টার্কি অধিক জনপ্রিয়। সবচেয়ে বেশি টার্কি পালন করা হয় যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাজ্যসহ প্রভৃতি দেশে। আমাদের দেশের অনুকূল আবহাওয়া ও পরিবেশে যে কোন পশু পাখি পালন অন্য দেশের তুলনায় সহজ , আবার কিছু প্রাণী আছে যারা দ্রুত পরিবেশের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে , আর টার্কি পাখি সে রকম একটি সহনশীল জাত , যে কোন পরিবেশ দ্রুত সে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে।
টার্কির বাচ্চা পালন :-
টার্কির ০-৪ সপ্তাহ বয়সকে ব্রীডিং পিরিয়ড বলা হয়৷ তবে শীতকালে ব্রীডিং পিরিয়ড বাড়িয়ে ৫-৬ সপ্তাহ করা হয়ে থাকে৷ সাধারণভাবে মুরগীর তুলনায় টার্কির দ্বিগুণ হোভারের জায়গা লাগে৷ এক দিন বয়সের শাবকদের ব্রুডিঙের জন্য অবলোহিত আলোর বাল্ব বা গ্যাস ব্রুডার ও চিরাচরিত ব্রীডিং ব্যবস্থা ব্যবহার করা যায়৷
- ০-৪ সপ্তাহের জন্য প্রয়োজনীয় জায়গার মাপ পাখী প্রতি ১.৫ ব.ফু.৷
- শাবক এসে পৌঁছোনোর অন্তত দু দিন আগে ব্রীডার হাউস তৈরী রাখতে হবে
- ২ মিটার ব্যাস জুড়ে গোলাকারে লিটার বিছিয়ে রাখতে হবে৷
- শাবকরা যাতে তাপের উত্স থেকে দূরে চলে না যায় তাই অন্তত ১ ফুট উচ্চতার একটি বেড়া রাখতে হবে
- প্রারম্ভিক তাপমাত্রা ৯৫০ফা. রাখতে হবে যা প্রতি সপ্তাহে ৫০ ফা. করে কমাতে হবে যতদিন না শাবকদের বয়স ৪ সপ্তাহ হয়
- অগভীর জলপাত্র ব্যবহার করতে হবে৷
প্রথম চার সপ্তাহে গড় মৃত্যুহার থাকে ৬-১০% ৷ শাবকরা স্বভাবতঃই জন্মের পরে প্রথম কয়েকদিন কিছু খেতে বা পান করতে চায় না, মূলতঃ খারাপ দৃষ্টিশক্তি ও ভয় পাওয়ার কারণে৷ এইজন্য, তাদের জোর করে খাওয়াতে হয়৷
জোর করে খাওয়ান:
শাবকদের অল্প দিনের মধ্যে মৃত্যুর একটি প্রধান কারণ অভুক্ত থাকা৷ তাই খাদ্য ও জল সরবরাহের প্রতি বিশেষ যত্ন নিতে হবে৷ জোর করে খাওয়ানর ক্ষেত্রে প্রতি লিটার জলে ১০০ মিলি হারে দুধ মিশিয়ে খাওয়াতে হবে এবং পনেরো দিন পর্যন্ত প্রতি ১০টি শাবকের জন্য একটি ডিম সিদ্ধ দিতে হবে৷ এটি শাবকদের প্রোটিন ও এনার্জির প্রয়োজন মেটাবে৷
খাবারের পাত্রটিকে আলতো করে আঙুল দিয়ে ঠুকে শাবকদের খাবারের দিকে আকৃষ্ট করা যেতে পারে৷ ফীডার এবং ওয়াটারারে রঙিন মার্বেল বা নুড়িপাথর রাখলেও শাবকেরা সেদিকে আকর্ষিত হবে৷ যেহেতু টার্কিরা সবুজ শাকপাতা ভালবাসে, তাই খাদ্যগ্রহণের পরিমাণ বাড়ানোর উদ্দেশ্যে কিছু কুচোন সবুজ পাতাও খাবারে মেশাতে হবে৷ এই সঙ্গে প্রথম ২ দিন রঙীন ডিমের পাত্রকেও ফীডার হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে৷
আমাদের কাছে বর্তমানে ১ মাস থেকে শুরু করে ৩/৪ মাস বয়সের টার্কি সাদা ও কালো রংয়ের উন্নতজাতের টার্কি পাওয়া যাচ্ছে....
রানিং পেয়ার টার্কি নব্য এডাল্ট টার্কি পাওয়া যাচ্ছে.....
টার্কি পালনের সুবিধাসমুহ ---
- মাংস উৎপাদন ক্ষমতা ব্যাপক ।
- এটা ঝামেলাহীন ভাবে দেশী মুরগীর মত পালন করা যায় ।
- টার্কি ব্রয়লার মুরগীর চেয়ে দ্রুত বাড়ে ।
- টার্কি পালনে তুলনামূলক খরচ অনেক কম, কারন এরা দানাদার খাদ্যের পাশাপাশি ঘাস,লতাপাতা খেতেও পছন্দ করে ।
- টার্কি দেখতে সুন্দর, তাই বাড়ির শোভা বর্ধন করে ।
- টার্কির মাংসে প্রোটিনের পরিমাণ বেশী, চর্বি কম । তাই গরু কিংবা খাসীর মাংসের বিকল্প হতে পারে ।
- টার্কির মাংসে অধিক পরিমাণ জিংক, লৌহ, পটাশিয়াম, বি৬ ও ফসফরাস থাকে । এ উপাদান গুলো মানব শরীরের জন্য ভিষণ উপকারী । এবং নিয়মিত এই মাংস খেলে কোলেস্টেরল কমে যায় ।
- টার্কির মাংসে এমাইনো এসিড ও ট্রিপটোফেন অধিক পরিমাণে থাকায় এর মাংস খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ।
- টার্কির মাংসে ভিটামিন ই অধিক পরিমাণে থাকে ।
টার্কি পালনের অর্থনৈতিক বৈশিষ্ট ----
- ডিম দেয়া শুরুর বয়স = ৩০ সপ্তাহ ।
- পরুষ ও স্ত্রীর অনুপাত = ১ :৫।
- বসরে গড় ডিম = ৮০ – ১০০ টি ।
- ডিম ফুটে বাচ্চা বেড় হয় = ২৮ দিনে ।
- ২০ সপ্তাহে গড় ওজন পুরুষ পাখী = ৭ – ৮ কেজি ।
- স্ত্রী পাখী = ৪ – ৫ কেজি ।
- বাজারজাত করনের সঠিক সময় পুরুষ = ১৪ – ১৫ সপ্তাহ ।
- স্ত্রী পাখী = ১৭ – ১৮ সপ্তাহ ।
- উপযুক্ত ওজন পুরুষ পাখী = ৮ – ১০ কেজি ।
- স্ত্রী পাখী = ৫ – ৬ কেজি ।
ডিম উৎপাদন –
সাধারণত ৩০ সপ্তাহ বয়স থেকে টার্কি ডিম দেয়া শুরু করে । প্রয়োজনীয় আলো বাতাস, পরিষ্কার পানি এবং খাবার সরবরাহ করা হলে বসরে ৮০ – ১০০ ডিম দিয়ে থাকে । ৬০ – ৭০ শতাংশ টার্কি মুরগী বিকেল বেলায় ডিম দেয় ।
মাংস উৎপাদন –
টার্কি দ্রুত মাংস উৎপাদনশীল একটি পাখী । দেশী হাস – মুরগীর মত সাধারন নিয়মে পালন করলেও ২৮ -৩০ সপ্তাহে প্রতিটি গড়ে ৫-৬ কেজি ওজন হয় ।
টার্কি পালন পদ্ধতি –
মুক্ত অবস্থায় ও আবদ্ধ অবস্থায় পালন করা যায় ।
লিটার ব্যাবস্থাপনা ঃ
এই পদ্ধতিতে টার্কির জন্য সহজলভ্য দ্রব্য ব্যাবহার করা যায় । যেমন নারিকেলের ছোবড়া, কাঠের গুরা, তুষ, বালি । প্রথমে ২ ইঞ্চি পুরু লিটার তৈরি করতে হয় । পরে আস্তে আস্তে আরো উপাদান যোগ করে ৩ - ৪ ইঞ্চি করলে ভালো হয় । লিটারে সব সময় শুকনো দ্রব্য ব্যাবহার করতে হবে । ভিজা লিটার তুলে সেখানে আবার শুকনো লিটার দিয়ে পূর্ণ করতে হবে ।
* খাবার –
টার্কির খাবার সরবরাহের জন্য দুইটি পদ্ধতি ব্যাবহার করা যায় । যেমন ম্যাশ ফিডিং ও পিলেট ফিডিং ।
একটি আদর্শ খাদ্য তালিকা নিচে দেয়া হলো –
ধান --------------- ২০%
গম ---------------- ২০%
ভুট্টা --------------- ২৫%
সয়াবিন মিল ------- ১০%
ঘাসের বীজ -------- ৮%
সূর্যমুখী বীজ ------- ১০%
ঝিনুক গুড়া -------- ৭%
মোট = ১০০%
* সতর্কতা –
অন্যান্য পাখির তুলনায় টার্কির জন্য বেশী ভিটামিন, প্রোটিন, আমিষ, মিনারেলস দিতে হয় । কোন ভাবেই মাটিতে খাবার সরবরাহ করা যাবে না । সব সময় পরিষ্কার পানি দিতে হবে ।
* সবুজ খাবার –
সব সময় মোট খাবারের সঙ্গে ৫০% সবুজ ঘাস খেতে দিলে ভালো । সে ক্ষেত্রে নরম জাতীয় যে কোন ঘাস হতে হবে । যেমন – কলমি, হেলেঞ্চা ইত্যাদি । একটি পূর্ণ বয়স্ক টার্কির দিনে ১৪০ – ১৫০ গ্রাম খাবার দরকার হয় । যেখানে ৪৪০০ – ৪৫০০ ক্যালোরি নিশ্চিত করতে হবে ।
* প্রজনন ব্যাবস্থা –
একটি টার্কি মুরগীর জন্য ৪ – ৫ বর্গ ফুট জায়গা নিশ্চিত করতে হবে । ঘরে পর্যাপ্ত আলো ও বাতাসের ব্যাবস্থা থাকতে হবে । ঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে । একটি মোরগের সঙ্গে ৩ বা ৪ টি মুরগী রাখা যেতে পারে । ডিম সংগ্রহ করে আলাদা জায়গায় রখতে হবে । ডিম প্রদান কালীন সময়ে টার্কিকে আদর্শ খাবার এবং বেশী পানি দিতে হবে ।
* বাচ্চা ফুটানো –
টার্কি নিজেই ডিমে তা দিয়ে বাচ্চা ফোটায় । তবে দেশী মুরগী অথবা ইনকিউবেটর দিয়ে বাচ্চা ফুটালে ফল ভালো পাওয়া যায় । তাছাড়া বাচ্চা উৎপাদনের জন্য সময় নষ্ট না হওয়ার কারণে টার্কিও ডিম উৎপাদন বেশী করে ।
* রোগ বালাই –
পক্স, সালমোনেলোসিস, কলেরা , মাইটস ও এভিয়ান ইনফুলেঞ্জা বেশী দেখা যায় । পরিবেশ ও খমার অব্যাবস্থাপনার কারণে অনেক রোগ সংক্রমণ হতে পারে ।
* টিকা প্রদান----
১ম দিন ---------- এন ডি ( বি১ স্টেরেইন ) ।
৪ ও ৫ সপ্তাহে ---- ফাউল পক্স ।
৬ সপ্তাহে ---------- এন ডি ।
৮ – ১০ সপ্তাহে –- ফাউল কলেরা ।
যেহেতু আমাদের দেশে মুরগির রানিক্ষেত রোগ হ্য়। তাই রানিক্ষেত রোগের টিকা দিয়ে নিতে পারেন।
সতর্কতাঃ-- কোন অবস্থায় রোগাক্রান্ত পাখিকে টিকা দেয়া যাবে না। টিকা প্রয়োগ করার পূর্বে টিকার গায়ে দেয়া তারিখ দেখে নিবেন। মেয়াদ উরতিন্ন টিকা প্রয়োগ করবেন না ।
এছাড়া নিয়ম মাফিক, পরিচ্ছন্ন খাদ্য ও খামার ব্যাবস্থাপনার মাধ্যমে অনেক রোগ – বালাই এড়িয়ে চলা সম্ভব ।
* বাজার সম্ভবনা –
- টার্কির মাংস পুষ্টিকর ও সুস্বাদু হওয়ায় এটি খাদ্য তালিকার একটি আদর্শ মাংস হতে পারে । পাশাপাশি দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর মাংসের চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখতে পারে । যাদের অতিরিক্ত চর্বি যুক্ত মাংস খাওয়া নিষেধ অথবা যারা নিজেরাই এড়িয়ে চলেন, কিংবা যারা গরু / খাসীর মাংস খায়না , টার্কি তাদের জন্য হতে পারে প্রিয় একটি বিকল্প । তাছাড়া বিয়ে, বৌ –ভাত, জন্মদিন সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে খাসীর/গরুর মাংসের বিকল্প হিসেবে টার্কির মাংস হতে পারে অতি উৎকৃষ্ট একটি খাবার । এবং গরু / খাসীর তুলনায় খরচ ও হবে কম ।
- বানিজ্যিক খামার করলে এবং মাংস হিসেবে উৎপাদন করতে চাইলে ১৪/১৫ সপ্তাহে একটি টার্কির গড় ওজন হবে ৫/৬ কেজি । ৪০০ টাকা কেজি দর হিসেব করলে একটি টার্কির বিক্রয় মুল্য দাঁড়াবে ২০০০/২৫০০ টাকা । ১৪/১৫ সপ্তাহ পালন করতে সর্বচ্চ খরচ পরবে ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা । তাহলে কম পক্ষে একটি টার্কি থেকে ৫০০ টাকা লাভ করা সম্ভব ।
- তবে মাংস হিসেবে বানিজ্যিক খামার গড়ে উঠতে আমাদের আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে । কারন তাতে বিদেশ থেকে আরো উন্নত জাত সংগ্রহ করতে হবে, অধিক বিনিয়োগ করতে হবে । কিন্তু বর্তমানে ছোট আকারের খামার করার যে চাহিদা দেশ ব্যাপী তৈরি হয়েছে, তাতে আগামী ৩/৪ বসরে কয়েক লাখ টার্কির প্রয়োজন হবে । এবং সে ক্ষেত্রে দাম ও বেশী পাওয়া যাচ্ছে । ৩০০০ থেকে ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত বয়স ও রং ভেদে টার্কির জোড়া কেনা – বেচা চলছে ।
আপনি কেন টার্কির খামার করবেন ??
• যারা বেকার বসে আছেন * যারা নতুন কিছু শুরু করতে চান * পোল্ট্রি ব্যবসা করে যারা লোকসানের সম্মুখীন হয়েছেন এবং আপনার স্থাপনা এখন কোন কাজে আসছে না * যারা কম ঝামেলা পূর্ণ কাজ পছন্দ করেন এবং ভালো আয়ের উৎস খুজছেন * যারা অল্প পুঁজি এবং কম ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবসা খুজছেন, টার্কির খামার তাদের জন্য আদর্শের । কারন হিসেবে আমার অভিমত – ১। একটি আদর্শ টার্কি খামার করতে খুব বেশী পুঁজির প্রয়োজন হয় না । ২। অন্যান্য পাখীর তুলনায় এর রোগ বালাই কম এবং কিছু নিয়ম মেনে চললে এই খামারে ঝুঁকি অনেক কম । ৩। যেহেতু ৮০% পর্যন্ত ঘাস দেয়া যায়, তাই খবারে খরচ কম । ৪। বাজার চাহিদা প্রচুর । ৫। উচ্চ মুল্য থাকায় খরচের তুলনায় আয় অনেক বেশী ।
* শেষ কথা -----
বাংলাদেশের গ্রাম গঞ্জে অনেক জায়গা অনাবাদী/ পতিত অবস্থায় পরে থাকে । যেখানে প্রাকৃতিক ভাবে জন্মে রয়েছে বভিন্ন ঘাস – লতা । এরকম উন্মুক্ত জায়গা টার্কি পালনের জন্য বেশী উপযোগী ।অন্য দিকে আমদের রয়েছে এক বৃহত্তর বেকার জনগোষ্ঠী । তাই একদিকে অব্যবহৃত জমিকে ব্যবহার এবং বেকার দের জন্য কর্ম সংস্থান, এই দুই এর মাঝে সেতু বন্ধন হতে পারে ছোট একটি টার্কি খামার ।
তথ্য সূত্র : https://3.bp.blogspot.com
Thursday, 1 February 2018
কেন পাঙ্গাস বিপজ্জনক?
অনেকেরই পছন্দের একটি মাছ হচ্ছে পাঙ্গাস, শরীরে প্রয়োজনীয় প্রোটিন, ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিডের চাহিদা মেটাতে ছোট মাছের বিকল্প নেই। পাঙ্গাস রান্না করা সহজ, কাঁটা বেশি থাকে না, খেতে সুস্বাদু। আপাত সস্তাও। সবই ঠিক আছে।
কিন্তু পাঙ্গাস মাছ থেকে সাবধান। পারলে এখনই খাওয়া বন্ধ করুন। তা না হলে অ্যাস্থমা, করোনারি ডিজিজ, হাড় ক্ষয়ের মতো নানা রোগ এমনকি ক্যান্সারের মতো মরণ রোগও অচিরেই বাসা বাঁধতে পারে শরীরে।
কিন্তু বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি গবেষণায় পাঙ্গাস সম্পর্কে মারাত্মক তথ্য উদ্ঘাটন করেছেন। দেখা গিয়েছে, পাঙ্গাস মাছের থাকা উপাদান শরীরকে ধীরে ধীরে শেষ করে। এক কথায়, স্লো পয়জন।
কেন পাঙ্গাস বিপজ্জনক? পাঙ্গাস মাছ বড় হয় সাধারণ অবস্থাতেই। কিন্তু চাষ করা হয় ফার্মে। আমরা বাজার থেকে যে পাঙ্গাস কিনি, সেগুলি সবই নির্দিষ্ট কারখানায় চাষ করা হয়। আর এখানেই বিষ হয়ে যায় পাঙ্গাস । ফার্মে পাঙ্গাস স্বাদ বাড়ানোর ও সংখ্যায় বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হয় নানা রকম রাসায়নিক সার। সঙ্গে বিষাক্ত কীটনাশক। দেখা গিয়েছে, ফার্মে পাঙ্গাস চাষে ব্যবহার করা হয় এমন কিছু রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়, যা থেকে ক্যান্সার হয়। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, সুস্থ ভাবে বাঁচতে অবশ্যই মাছ খান তবে পাঙ্গাস নয়।
Subscribe to:
Posts (Atom)