চুল মানুষের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। হঠাৎ চুল পড়া বেড়ে গেলে আমরা হতাশায় পড়ে যাই। নারী-পুরুষ উভয়েই এ চুল পড়া সমস্যায় ভোগেন। পুরুষের সাধারণত মাথার পিছনের ও কপালের কাছে চুল পড়ে যায়, আর নারীরা চুলের সামগ্রিক আয়তনের হ্রাস অনুভব করে থাকেন।
মাথায় অকালে চুল পড়া, টাক হওয়া বা চুল পাকা প্রায় একই কারণে হয়ে থাকে।
টাক পড়াকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় অ্যান্ড্রোজেনিক অ্যালোপেশিয়া বলা যায়, যা শুরু হয় কপালের দুই পাশে রগের কাছ থেকে। তারপর ক্রমেই বাড়তে থাকে মাথার সামনের দিকে এবং এটা আস্তে আস্তে পেছনের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। তখন আপনার পুরো মাথার চুল পড়ে যায়।
বংশগত বা হরমোনজনিত কারণে এটি হতে পারে। আবার বয়ঃসন্ধিকাল থেকেই কারও কারও টাক পড়া শুরু হয়।
এ ব্যপারে চিকিৎসকের কাছে চুলের ট্রিটমেন্ট করে কেন টাকা নষ্ট করবেন? যদি এ সমস্যা সমাধান আপনার ঘরেই থাকে!
হ্যাঁ, ঘরোয়া মিশ্রণে আপনি চুলকে মেরামত এবং ক্ষতিগ্রস্ত চুলের বীজকোষ পুনরুজ্জীবিত করতে পারবেন।
মনে রাখবেন, যদিও কার্যকরী তবুও ক্ষতিগ্রস্ত চুলের জন্য এই ভেষজ চুল মিশ্রণটি অবিলম্বে ফলাফল দেবে না। অগ্রগতি ধীরগতিতে হলেও এর ফলাফল দেখতে পাবেন।
নিম্নে নিস্তেজ এবং ক্ষতিগ্রস্ত চুল পুনরুজ্জীবিত করার উপায় দেয়া হলো :
মেথি : মেথিতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন আছে যা চুল স্থিতিস্থাপকতা উন্নত করে এবং চুলের ভাঙ্গন রোধ করে। এছাড়াও এতে ভিটামিন সি, লৌহ এবং লিকিথিন আছে যা চুলের বীজকোষগুলিকে পুষ্টি যোগায় ও শক্তিশালী করে।
উপকরণ : দুই টেবিল চামুচ মেথি, আধ কাপ টক দই, এক টেবিল চামচ নারকেল তেল।
প্রস্তুত প্রণালী : এক কাপ পানিতে সারা রাত মেথি ভিজিয়ে রাখুন। পর দিন সকালে মেথি পিষে লেই বানিয়ে নিন। এতে নারকেল তেল ও টক দই যোগ করুন।এই মিশ্রণটি মাথার ত্বকে ও চুলের প্রান্তে প্রয়োগ করুন ও তিরিশ মিনিটের মতো রেখে ধুয়ে ফেলুন।
ওটস : ভিটামিন বি এ ভরা ওটস চুলের আদ্রতা বজায় রাখে।এর ব্যাকটেরিয়াবিরোধী বৈশিষ্ট্য মাথার ত্বক পরিষ্কার ও চুলকানি প্রশমিত করে।
উপকরণ : আধ কাপ ওটস, দুই টেবিল চামচ নারকেল তেল, আধ কাপ দুধ।
প্রস্তুত প্রণালী : উপরের সব উপাদান মিশিয়ে নিন। এ মিশ্রণটি আপনার মাথার ত্বকে ও চুলে ভালো করে লাগান। কুড়ি মিনিট বসতে দিন। পরে শ্যাম্পু দিয়ে ভালো করে চুল ধুয়ে ফেলুন। এই মিশ্রণটি দ্রুত চুল লম্বা করে থাকে।