Thursday, 30 November 2017

টাক মাথার চুল পুনরুজ্জীবিত হবে যেভাবে!


চুল মানুষের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। হঠাৎ চুল পড়া বেড়ে গেলে আমরা হতাশায় পড়ে যাই। নারী-পুরুষ উভয়েই এ চুল পড়া সমস্যায় ভোগেন। পুরুষের সাধারণত মাথার পিছনের ও কপালের কাছে চুল পড়ে যায়, আর নারীরা চুলের সামগ্রিক আয়তনের হ্রাস অনুভব করে থাকেন।
মাথায় অকালে চুল পড়া, টাক হওয়া বা চুল পাকা প্রায় একই কারণে হয়ে থাকে।
টাক পড়াকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় অ্যান্ড্রোজেনিক অ্যালোপেশিয়া বলা যায়, যা শুরু হয় কপালের দুই পাশে রগের কাছ থেকে। তারপর ক্রমেই বাড়তে থাকে মাথার সামনের দিকে এবং এটা আস্তে আস্তে পেছনের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। তখন আপনার পুরো মাথার চুল পড়ে যায়।
বংশগত বা হরমোনজনিত কারণে এটি হতে পারে। আবার বয়ঃসন্ধিকাল থেকেই কারও কারও টাক পড়া শুরু হয়।
এ ব্যপারে চিকিৎসকের কাছে চুলের ট্রিটমেন্ট করে কেন টাকা নষ্ট করবেন? যদি এ সমস্যা সমাধান আপনার ঘরেই থাকে!
হ্যাঁ, ঘরোয়া মিশ্রণে আপনি চুলকে মেরামত এবং ক্ষতিগ্রস্ত চুলের বীজকোষ পুনরুজ্জীবিত করতে পারবেন।
মনে রাখবেন, যদিও কার্যকরী তবুও ক্ষতিগ্রস্ত চুলের জন্য এই ভেষজ চুল মিশ্রণটি অবিলম্বে ফলাফল দেবে না। অগ্রগতি ধীরগতিতে হলেও এর ফলাফল দেখতে পাবেন।
নিম্নে নিস্তেজ এবং ক্ষতিগ্রস্ত চুল পুনরুজ্জীবিত করার উপায় দেয়া হলো :
মেথি : মেথিতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন আছে যা চুল স্থিতিস্থাপকতা উন্নত করে এবং চুলের ভাঙ্গন রোধ করে। এছাড়াও এতে ভিটামিন সি, লৌহ এবং লিকিথিন আছে যা চুলের বীজকোষগুলিকে পুষ্টি যোগায় ও শক্তিশালী করে।
উপকরণ : দুই টেবিল চামুচ মেথি, আধ কাপ টক দই, এক টেবিল চামচ নারকেল তেল।
প্রস্তুত প্রণালী : এক কাপ পানিতে সারা রাত মেথি ভিজিয়ে রাখুন। পর দিন সকালে মেথি পিষে লেই বানিয়ে নিন। এতে নারকেল তেল ও টক দই যোগ করুন।এই মিশ্রণটি মাথার ত্বকে ও চুলের প্রান্তে প্রয়োগ করুন ও তিরিশ মিনিটের মতো রেখে ধুয়ে ফেলুন।
ওটস : ভিটামিন বি এ ভরা ওটস চুলের আদ্রতা বজায় রাখে।এর ব্যাকটেরিয়াবিরোধী বৈশিষ্ট্য মাথার ত্বক পরিষ্কার ও চুলকানি প্রশমিত করে।
উপকরণ : আধ কাপ ওটস, দুই টেবিল চামচ নারকেল তেল, আধ কাপ দুধ।
প্রস্তুত প্রণালী : উপরের সব উপাদান মিশিয়ে নিন। এ মিশ্রণটি আপনার মাথার ত্বকে ও চুলে ভালো করে লাগান। কুড়ি মিনিট বসতে দিন। পরে শ্যাম্পু দিয়ে ভালো করে চুল ধুয়ে ফেলুন। এই মিশ্রণটি দ্রুত চুল লম্বা করে থাকে।

স্টিকার লাগানো ফল কিনছেন, সেই স্টিকারের মানে জানেন!


আমাদের নিত্য ব্যবহার্য কিছু কিছু পণ্যের গায়ে স্টিকার দেখে সে পণ্যটি সম্পর্কে আমরা কিছুটা ধারণা পেতে পারি। সুপারমার্কেট বা কোনো ফলের বাজার থেকে আপেল, আঙ্গুর, নাশপাতি বা অন্য যে কোনো ফল কেনার সময় নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন ফলের গায়ে স্টিকার লাগানো থাকে।
বিভিন্ন ফলের ওপর থাকা স্টিকারগুলো দেখে আমরা ফলটির মান ও উৎপাদন সম্পর্কে অবগত হতে পারি।
ফলের গায়ে মারা স্টিকারে কী লেখা থাকে, ভালো করে হয়তো সেটা অনেকেই দেখেন না। যদি দেখেও থাকেন, তাহলে এর মানেটা বোধগম্য করতে পারেন নাই। আমাদের আজকের এই প্রতিবেদন থেকে আসুন জেনে নেন, ফলের গায়ে লেগে থাকা সেই স্টিকারের মানেগুলো-
১. স্টিকারে যদি দেখেন ৪ সংখ্যার কোড নম্বর রয়েছে এবং সেটা শুরু হচ্ছে ৩ বা ৪ দিয়ে, এর মানে হলো, কোনো ফার্মে ওই প্রোডাক্টির চাষ হচ্ছে বিংশ শতকের মাঝামাঝি সময় থেকে। যার অর্থ, কৃত্রিম সার ব্যবহারের মাধ্যমেই চাষ হয়েছে।
২. যদি কোনো ফলের গায়ে ৫ সংখ্যার কোড দেওয়া স্টিকার দেখেন, যার শুরুটা ৯ দিয়ে, অর্থ, চিরাচরিত প্রথাতেই চাষ হচ্ছে। হাজার হাজার বছর আগেও যেভাবে চাষ হত, সে ভাবেই। মানে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে, জৈব সার প্রয়োগের মাধ্যমে চাষ হয়।
৩. স্টিকারে যদি ৫ ডিজিটের কোড থাকে এবং শুরুটা যদি ৮ সংখ্যা দিয়ে হয়, তার মানে ওই ফলটি GMO বা জেনেটিক্যালি মডিফায়েড।

৮ রোগের মহাওষুধ খেজুর!


আনেকেই বিশ্বাস করেন মিষ্টি খাবার মানেই তা শরীরের জন্য ভালো নয়। এই ধরণা কিন্তু ঠিক নয়। কারণ খেজুর একটা মিষ্টি ফল, তবু এর মধ্য কোনও ক্ষতিকর উপাদান নেই। বরং এটি খেলে সার্বিকভাবে শরীর অনেক চাঙ্গা থাকে।
খেজুরের মধ্য বিপুল পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল, ক্য়ালসিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম এবং ফাইবার থাকার কারণে শীতকালে এই ফলটি খাওয়া খুব জরুরি। সর্বোপরি এর খাদ্যগুনের জন্য রমজান মাস চালাকলীন মুসলমানরা ইফতার করেন এই ফল দিয়েই। কারণ রোজার কারণে শরীরের বিপুল পিরমাণ শক্তির দরকার পরে, আর খেজুর সে সময় এই কাজটিই করে খুব সুন্দরভাবে। এখানেই শেষ নয়, যারা নিজের ওজন কমাতে ইচ্ছুক তাদের জন্যও এই ফলটি খাওয়া জরুরি। কারণ খেজুর ওজন কমাতে দারুন কাজে আসে। খেজুরের আরো কিছু গুনাগুন আমরা জানি
১. শরীর গরম রাখে:
খেজুরে বিপুল পরিমাণে ফাইবার, আয়রন, ক্য়ালসিয়াম, ভিটামিন এবং ম্য়াগেনশিয়াম থাকার কারণে এটি শরীর গরম রাখতে খুব সাহায্য় করে। সেই কারণেই তো শীতকালে এই ফলটি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।

যে গ্রামে সবাই কোটিপতি !! আজব খবর


কি নেই গ্রামটিতে? আকাশচুম্বী ভবন, বিলাসবহুল গাড়ী, হেলিকপ্টার, থিমপার্ক সবই রয়েছে চীনের জিয়াংশু প্রদেশের হুয়াক্সি গ্রামটিতে। এখানে বসবাসকারী সকলেরই ব্যাংকে সঞ্চয়ের পরিমান ১ মিলিয়ন ইউয়ান (চীনের মুদ্রা) এর বেশি। অর্থাৎ বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ ১ কোটি টাকারও বেশি।
গত মাসে ৫৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেছে সমাজতন্ত্রে পরিচালিত এ গ্রামটি।
অদ্ভুত ব্যাপার হচ্ছে, গ্রামটিতে বসবাসরত সবারই রয়েছে একটি করে গাড়ি ও বাড়ি। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, কেউ যদি কখনো গ্রাম থেকে চলে যায় তার সকল কিছুই বাজেয়াপ্ত হয়ে যায়।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং প্রচুর কৃষি পণ্য উৎপাদিত গ্রামটি জিয়াংশু প্রদেশের জিয়ানগিন শহর প্রশাসন পরিচালিত এ গ্রামটিতে।
আপনি ইচ্ছে করলে ভ্রমন করতে পারেন গ্রামটিতে। এখানে পর্যটকদের জন্য রয়েছে লং উইশ ইন্টারন্যাশনাল হোটেল। যাতে ৮২৬টি রুমের মধ্যে ১৬টি প্রেসিডেন্সিয়াল এবং একটি গোল্ড প্রেসিডেন্সিয়াল রুম। গোল্ড প্রেসিডেন্সিয়াল রুমে একরাত কাটাতে একজনকে ব্যয় করতে হয় ১ লাখ ইউয়ান, বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ প্রায় ১৩ লাখ টাকা।
চীনের বাণিজ্যকেন্দ্র সাংহাই থেকে মাত্র দুই ঘণ্টার দুরত্বে এ গ্রামটির রয়েছে নিজস্ব ট্রান্সপোর্ট ব্যবস্থা। তবে তা গাড়ি নয়, হেলিকপ্টার। টংইয়ং এয়ারলাইন কোম্পানি রয়েছে এর ব্যবস্থাপনায়। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, গ্রামের আশেপাশের শহরগুলোতে যেতে ১০ মিনিটেরও কম সময় লাগে

Monday, 27 November 2017

মহানবী (সা.) এর ১৪০০ বছর আগের বাণী আজ বিজ্ঞানীরা প্রমাণ পেয়েছে !


মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেনঃ “পুরুষের প্যান্ট বা কাপড় পায়ের টাখনুর উপর পড়তে হবে। অন্যথায় তারা জাহান্নামে যাবে।”
– (সহীহ বুখারী ৫৩৭১)
বিজ্ঞান বলে, পুরুষের টাখনুর ভিতর প্রচুর পরিমানে হরমোন থাকে এবং তার আলো বাতাসের প্রয়োজন হয়। তাই কেউ যদি তা খোলা না রেখে ঢেকে রাখে, তাহলে তার যৌনশক্তি কমে যাবে এবং বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হবে।
মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, “ভ্রু প্লাগকারীর উপর আল্লাহর লানত”
– (সহীহ বুখারী ৫৫১৫)
বিজ্ঞান বলে, ভ্রু হলো চোখের সুরক্ষার জন্য। ভ্রুতে এমন কিছু লোম থাকে যদি তা কাটা পড়ে যায় তাহলে ভ্রুপ্লাগকারী পাগল হতে পারে, অথবা মৃত্যুবরণও করতে পারে।
রাসুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “নেশা জাতীয় দ্রব্য খাওয়া হারাম”
– (সহীহ বুখারী ৬১২৪)
বিজ্ঞান বলে, ধুমপানের কারনে ফুস্ফুসের ক্যান্সার, ব্রংকাইটিস ও হৃদরোগ হয়ে মানুষ মারা যায়। ধুম্পান করলে ঠোট, দাতের মাড়ি, আঙ্গুল কালো হয়ে যায়। যৌনশক্তি ও ক্ষুধা কমে যায় এমনকি স্মৃতিশক্তি ও কমে যায়।
রাসুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “পুরুষের জন্য স্বর্ণ ব্যবহার হারাম।”
– (মুসলিম ১৬৫৫)
বিজ্ঞান বলে, স্বর্ণ এমন একটি পদার্থ যা স্কিনের সাথে মিশে ব্লাডের মাধ্যমে ব্রেনে চলে যায়। আর তার পরিমান যদি ২.৩ হয় তাহলে মানুষ তার আগের স্মৃতি সব হারিয়ে ফেলবে।
রাসুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ঘুমানোর সময় আলো নিভিয়ে এবং ডান কাত হয়ে ঘুমাতে।
– (সহীহ বুখারী ৩২৮০)
বিজ্ঞান বলে, ডান কাত হয়ে ঘুমালে হার্ট ভালো করে পাম্প করে। আর লাইট না নিভিয়ে ঘুমালে ব্রেনের এনাটমি রস শরীরে প্রবেশ করতে পারে না, যার ফলে ক্যান্সার হওয়ার খুব সম্ভবনা থাকে।
রাসুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “তোমরা গোফ ছেটে ফেল এবং দাড়ি রাখ।”
– (সহীহ মুসলিম ৪৯৩ ও ৪৯৪)
বিজ্ঞান বলে, দাড়ি না রাখলে স্ক্রিন ক্যান্সার, ফুস্ফুসের ইনফেকশন এবং ৪০ এর আগে যৌবন হারানোর সম্ভবনা থাকে।
আল্লাহ সুবনাহু তায়ালা বলেন, “আর ব্যভিচারের কাছেও যেয়োনা। নিশ্চয় এটা অশ্লীল কাজ এবং ধ্বংসের পথ।”
– (বনি ইসরাঈল ৩২) নেশাগ্রস্থ শয়তানের কাজ (মাইদাহ ৯০)
বিজ্ঞান বলে, পর্নোগ্রাফি ও অশ্লীল সম্পর্ক সহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য নেশায় যদি কেউ জড়িয়ে পড়ে, তাহলে তার ব্রেনের ফরেন্টাল এরিয়া পরিচালনা করার ইনটেলেকচুয়াল সেলগুলো থরথর করে কাপতে থাকে এবং অস্থির হয়ে যায়। যার ফলে সে নেশাগ্রস্থ হয়ে মাতাল ও অসুস্থের মত জীবন পরিচালনা করে। এবং তা তাকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়।
আল্লাহ বলেন, “আর যখন কোরআন পাঠ করা হয়, তখন তাতে কান লাগিয়ে রাখ এবং নিশ্চুপ থাক যাতে তোমাদের উপর রহমত হয়।”
– (আরাফ ২০৪)
বিজ্ঞান বলে, কুরআনের সাউন্ড ওয়েব শরীরের সেলগুলোকে সক্রিয় করে, অসুস্থতা আরোগ্য করে বিশেষ করে হার্ট এবং ক্যান্সার রোগীদের। আর ব্রেনকে এমনভাবে চার্জ করে, ঠিক যেমন ভাবে ফিউজ হওয়া ব্যাটারীকে সচল করা হয়।

বাংলাদেশের কিংবদন্তী ক্রিকেটার মাশরাফির প্রশংসায় যা লিখলো ভারতীয় গণমাধ্যম


বাংলাদেশের এক অনন্য কিংবদন্তী ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মর্তুজা’ এটা যেমন বাংলাদেশের কোটি বাঙ্গালী জানে , সেই সাথে জেনে গেছে পুরো বিশ্ব। তাইতো ক্রিকেটভক্তদের মনের জায়গা করে নিয়েছে অধিনায়ক মাশরাফি।
সম্প্রতি বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি প্রশংসায় ভাসিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম ‘স্পোর্টসকিডা’। একইসাথে ২০১৯ বিশ্বকাপের বাংলাদেশ দলে মাশরাফির ভূমিকা নিয়েও আলোচনা করেছে তারা।
এবার মাশরাফির প্রশংসায় যা লিখলো ভারতীয় গণমাধ্যম:
“মাশরাফি যখন ২০১৪ সালে দলের অধিনায়কত্বের দায়িত্ব নিয়েছিলেন, বাংলাদেশ র‍্যাংকিংয়ের নয় নম্বর অবস্থানে ছিল, এবং তখনও তাদের নামের পাশে ‘পুঁচকে দল’-এর তকমা আঁটা থাকত। কিন্তু এই মুহূর্তে বাংলাদেশ সাত নম্বরে রয়েছে। তারচেয়েও বড় কথা, এখন তারা শ্রেষ্ঠত্বের দিক থেকে বিশ্ব ক্রিকেটে অন্য যেকোন দলের সমপর্যায়ে রয়েছে।
প্রতিভার বিচরণ বাংলাদেশ দলে সবসময়ই ছিল। কিন্তু এখন তার পাশাপাশি দলটার মধ্যে সঠিক টেম্পারমেন্টও এসেছে। এবং একজন ব্যক্তি দলের প্রত্যেকের মধ্যে এই অসাধারণ আত্মবিশ্বাস জন্মাতে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন। সেই ব্যক্তিটি হলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা।
যেকোন আঙ্গিক থেকেই মাশরাফি হলেন একজন সত্যিকারের যোদ্ধা। ইনি হলেন সেই ব্যক্তি যিনি প্রতিদিন নিজের হাঁটুর সাথে লড়াই চালিয়ে যান নিজের খেলোয়াড়ি জীবনকে আরও খানিকটা প্রলম্বিত করতে।
তার হাঁটুর অবস্থা এতটাই ভয়াবহ যে তার সামনে ঝুঁকি রয়েছে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়ে বাকি সারাটা জীবন হুইলচেয়ারে বন্দি হয়ে পড়ার। কিন্তু তারপরও তিনি দেশের জন্য খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এটা মাশরাফির বোলিং নয়। বরং এটা হলো মাশরাফির অসাধারণ নেতৃত্বগুণ যা দলের সকলকে একই সুঁতোয় গেঁথেছে, এবং প্রতিনিয়ত সামনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ দল সিরিজ জিতেছে ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। তারা ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল, এবং সম্প্রতি চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালেও উঠেছে এবং যেই ব্যক্তির জন্য এই সব কিছু সম্ভব হয়েছে তিনিই হলেন মাশরাফি।

দাঁতের ক্ষয় আর নয়! দাঁতের ক্ষয় রোধ করুন ঘরোয়া ৩টি সহজ উপায়ে…


দাঁত ব্যথার অন্যতম কারণ হল ক্যারিজ বা দন্তক্ষয়। অনেকের কাছে এই রোগটি দাঁতের পোকা নামে পরিচিত। যদিও চিকিৎসা বিজ্ঞানে এর কোনো ভিত্তি নেই। দাঁতের সব রোগের মধ্যে এটাই সবচেয়ে বেশি হয়।
বর্তমানে দাঁত ক্ষয় ও দাঁতে ছিদ্র হওয়া একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাধারণত শিশু, টিনএজার ও বয়স্কদের এই সমস্যাটি বেশি হতে দেখা যায়।
ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের ফলেই দাঁত ক্ষয় হয়ে থাকে। ঘন ঘন স্ন্যাক্স ও ড্রিঙ্কস খাওয়া, অনেকক্ষণ যাবত দাঁতের মধ্যে খাবার লেগে থাকা, ফ্লোরাইড এর অপর্যাপ্ততা, মুখ ড্রাই থাকা, মুখের স্বাস্থ্যবিধি না মানা, পুষ্টির ঘাটতি এবং ক্ষুধামন্দার সমস্যা থাকা ইত্যাদি কারণে দাঁতে ছিদ্র ও দাঁত ক্ষয় রোগ হয়ে থাকে।
লক্ষণ সমূহ:
দাঁতে প্রচন্ড ব্যাথা হয়
কোন কিছু খাওয়া বা পান করার সময় হালকা থেকে তীব্র ব্যাথা হয়
আক্রান্ত দাঁতে গর্ত দেখা যায় এবং
দাঁতের উপরে সাদা, কালো বা বাদামী দাগ দেখা যায়।
যদি প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা করা না হয় তাহলে ইনফেকশন বৃদ্ধি পেয়ে ব্যাথা ক্রমেই অসহনীয় হয়ে উঠতে পারে এবং দাঁতটি হারানোর সম্ভাবনা ও দেখা দিতে পারে। ক্যাভিটির চিকিৎসায় দাঁতে ফিলিং করা হয় ও ক্যাপ পরানো হয় এবং দাঁতের অবস্থা খুব খারাপ হলে রুট ক্যানেল করা হয়। এই সব চিকিৎসা খুব ব্যায় বহুল এবং কষ্টদায়ক।
ঘরোয়া কিছু উপায়ে দাঁতের ব্যাথা কমানো যায়। জেনে নিন সেই উপায় গুলো সম্পর্কেঃ
১। হলুদ গুঁড়ো
দাঁতের ছিদ্রের সমস্যায় হলুদ গুঁড়ো ব্যাবহার খুবই উপকারি। হলুদে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংসকারী উপাদান আছে যা দাঁতের ব্যাকটেরিয়ার ইনফেকশন কে ধ্বংস করতে পারে এবং এর প্রদাহ রোধী উপাদান দাঁতের ব্যাথা উপশম করতে পারে। হলুদ গুঁড়া ও পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন এবং আস্তে আস্তে ব্যাথার দাঁতে লাগান,ব্যাথা কমে যাবে।

Friday, 24 November 2017

শিল্পী বারী সিদ্দিকী সম্পর্কে অজানা তথ্য


ঢাকা: প্রখ্যাত সংগীত শিল্পী ও বংশীবাদক বারী সিদ্দিকীকে নিয়ে নিজের ফেসবুকে একটি দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন হবিগঞ্জ জজকোর্টের আইনজীবী ও সাংবাদিক এম এ মজিদ। স্ট্যাটাসটিতে তিনি শিল্পী বারী সিদ্দিকী সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য তুলে ধরেছেন। যার মধ্যে বারী সিদ্দিকীর কিছু বিখ্যাত গান রচনার প্রেক্ষাপটও তুলে ধরা হয়েছে। শীর্ষ নিউজের পাঠকদের জন্য স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো- ‘অনেকের ধারনা যারা বাউল শিল্পী কিংবা লোকজ সংগীত করেন তাদের বেশির ভাগ স্বল্প শিক্ষিত বা স্বশিক্ষিত। যদি আপনি এব্যাপারে অনুসন্ধান করেন তাহলে আপনার ধারনা পাল্টে যেতে বাধ্য। ১৯৯৯ সনে মাঝে মাঝে বারী সিদ্দিকীকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস এলাকায় দেখা যেত সন্ধ্যার পর। তখনও এতোটা জনপ্রিয় তিনি ছিলেন না। হুমায়ুন আহমেদ এর কয়েকটি গানে তিনি সবে মাত্র কন্ঠ দিয়েছেন, বাশি বাজিয়েছেন। শ্রাবন মেঘের দিনে ছবিতে তিনি গানে কন্ঠ দিয়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান। আমি একবার সন্ধ্যার পর শাহবাগ এলাকায় বারী সিদ্দিকীকে দেখেছি। অনেক মানুষের মধ্যে তার গলার আওয়াজটাই আলাদা। বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ তার বাশির ভক্ত, গানের ভক্ত। বারী সিদ্দিকীর আদলে গান গেয়ে অনেকেই আজ জনপ্রিয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ ডিগ্রী অর্জনকারী বারী সিদ্দিকীর মেয়ে এ্যালমা সিদ্দিকী বিদেশে পড়াশুনা করেছেন। এ্যালমা সিদ্দিকীও একজন বাউল শিল্পী। বাবার সাথে একাধিকবার একই মঞ্চে একই টিভি শোতে গান করেছেন এ্যালমা সিদ্দিকী। ২ ভাই এক বোনের মধ্যে বারী সিদ্দিকী সবার ছোট। ১৯৫৪ সালে নেত্রকোনা জেলায় তার জন্ম। এ্যালমা সিদ্দিকী বলেছেন-তার বাবার উপার্জনের প্রায় সবটুকুই বাড়ি নির্মাণে ব্যয় করেছেন। নেত্রকোনা জেলায়ই বারী সিদ্দিকীর বাড়ি। বাড়ির নাম বাউল বাড়ী। “তুমি আইও পরানের বন্ধু আইও বাউল বাড়ী” শিরোনামে একটি গানও রয়েছে তার। নারী কন্ঠের গানটি বারী সিদ্দিকী গাইয়েছেন তার মেয়ে এ্যালমা সিদ্দিকীকে দিয়ে। আর “শুয়াচান পাখি” গান শুনে পুরো স্টেজের অনেকেই কেদেছেন এমন দৃশ্য প্রায়ই দেখা যায়। “শুয়াচান পাখি, আমি ডাকিতাছি তুমি ঘুমাইছ না কি” গান সম্পর্কে বারী সিদ্দিকী বলেছেন- আব্দুর রশিদ নামের এক বাউল শিল্পী গান করতে গঞ্জে যান। এসে দেখেন তার স্ত্রী মারা গেছেন। লাশ কবরে নামিয়ে দেয়া হয়েছে। কবরে লাশ রেখে ওই বাউল নিজের অজান্তেই স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে গানটি গেয়েছেন। সেই গানটি দেশের সেরা গানে পরিণত হয়েছে বারী সিদ্দিকীর কন্ঠে। বারী সিদ্দিকী একমাত্র বংশীবাদক যিনি জেনেভার একটি কনভেনশনে বাশি বাজানোর জন্য দক্ষিন এশিয়ার মধ্যে নির্বাচিত হয়েছিলেন। বারী সিদ্দিকীকে প্রশ্ন করা হয়েছিল “আপনার বেশির ভাগ গান বিরহের, কোন্ অতৃপ্তি থেকে আপনি এসব গান গেয়েছেন?” জবাবে বারী সিদ্দিকী জানান- আমার কোনো দুঃখ নেই, কষ্ট নেই, আমি কোনো কিছু হারাইনি। বরং আমি যা পেয়েছি তা অনেক বেশি। এতো কিছু না পেলেও হতো। বারী সিদ্দিকীর কোনো অতৃপ্তি কি আছে? না, এক্ষেত্রেও বারী সিদ্দিকী জানান-আমার কোনো অতৃপ্তি তো নাই ই, বরং দেশবাসী আমাকে যা দিয়েছে, এর কোনো যোগ্যতাই আমার নেই। “আমার গায়ে যত দুঃখ সয়” গানটি বারী সিদ্দিকীর অনবদ্য সৃষ্টি। অনেকে বলে থাকেন- বারী সিদ্দিকীর একটি খারাপ নেশা রয়েছে। নিজেকে লুকাননি বারী সিদ্দিকী। তিনি গান রচনা করেছেন “আমার মন্দ স্বভাব জেনেও তুমি, কেন চাইলে আমারে, এতো ভাল হয় কি মানুষ নিজের ক্ষতি করে”। এই গানটি সম্পর্কে বারী সিদ্দিকী বলেছেন “ গানটি আমার জন্য তৈরি করেছিলাম। অনেকে গানটি না গাওয়ার কথা বলেছিলেন। উপ মহাদেশের কেউ এভাবে নিজের মন্দ স্বভাব বলে গান করেনি। আমি করেছি, ভাবলাম আমার জন্য গানটি করেছি, আমিই শুনব, সেই গানটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে”। বংশীবাদক বারী সিদ্দিকীর শতশত বাশি আছে। মৃত্যুর পর বাড়িতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বাশির কী হবে। এনিয়ে একটি গান করেছেন বারী সিদ্দিকী। বলেছেন- আমার অনেক বাশি আছে। মৃত্যুর পর লাশ কবরে রাখার সময় কিছু বাশের প্রয়োজন হয়, কেন বাশের চাটাই দেবেন, আমার বাশি দিয়েই চাটাই বানিয়ে দেয়া যাবে। তা না হলে বাশি দিয়ে ভেলা বানিয়ে আমার লাশটি জলে ভাসিয়েও দেয়া যাবে। শুধু বাশি বাজিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা শতশত শ্রোতাকে বসিয়ে রাখার এক জাদুকর বারী সিদ্দিকী। “ও রজনী অইছনা অবসান, আজ নিশিতে আসতে পারে আমার বন্ধু কালা চান” গান শুনে কে না স্তব্দ হয়ে থাকতে পারে। কী সুর, কী কথা। বারী সিদ্দিকীর কন্ঠে “এই পৃথিবী যেমন আছে, তেমনি রবে, সুন্দর এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হবে” কিংক্ষা “বিধি তোমার এমনই রায়, আপিল করার জায়গা নাই” বা “দয়াল তুমি আছ কোথায়, একজনেও দিল না স্বাক্ষী, তবুও কেমন প্রেমে পড়লাম, না দেখেও তোমারে ডাকি” এসব গান কী শুধুই গান? বারী সিদ্দিকীকে এসব গান নিয়ে গেছে আধ্যাত্বিক জগতে। বেশ কিছু দিন থেকেই নতুন বেশে বারী সিদ্দিকীকে জাতী দেখছে। লম্বা দাড়ি, পাঞ্জাবী, মাথায় টুপি। বারী সিদ্দিকী গুরুতর অসুস্থ। কয়েক বছর যাবতই তিনি অসুস্থ। তার ডায়ালাইসিস করা হয়েছে। গত সপ্তাহে বারী সিদ্দিকী হঠাৎ হার্ট এ্যাটাক করলে তাকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে তার চিকিৎসা চলে। বারী সিদ্দিকীকে দেখতে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কেউ হাসপাতালে গেছেন এমন কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি। সুর উঠেনি তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যাওয়ার। কোনো অনুদানেরও ঘোষণা আসেনি। কয়েকটি টিভি চ্যানেল তার সংবাদ প্রচার করেছে মাত্র। মতের অমিল মনের অমিল ধ্যান ধারনার অমিল থাকতেই পারে। আমরা মনে করি বাংলাদেশের বাউল সাম্রাজ্যে বারী সিদ্দিকী এক রাজা।’

Thursday, 23 November 2017

ধূমপান ছাড়ার ১০ কার্যকর উপায়


নিয়মিত ধূমপানের ফলে ধূমপায়ীদের ফুসফুসের রং পরিবর্তন হয়ে যায়। একসময় তা কালচে রং ধারণ করে। আর অধূমপায়ীর ফুসফুসের রং থাকে স্বাভাবিক।
সিগারেটের প্যাকেটেও এখন এ ধরনের চিত্র দেখতে পাওয়া যায়। প্রতিনিয়ত ধূমপানের ফলে ফুসফুসের চেহারাটাই বদলে যাচ্ছে। বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি। ফুসফুসে জটিলতা, কাশি, বুকে ব্যথা, স্ট্রোক কিংবা ফুসফুসে ক্যানসারের আশংকাও বেড়ে যায়।
যে কারণে ধূমপান ছাড়বেন
ধূমপায়ীরা নানারকম শারীরিক সমস্যায় ভুগে থাকেন। একটি অতি পরিচিত সমস্যা হচ্ছে বুকে ব্যথা। এছাড়াও ধূমপায়ীদের শ্বাসকষ্ট, কাশি, মাইগ্রেন, উচ্চ রক্তচাপসহ যৌন সমস্যা দেখা যায়। ধূমপায়ী নারী ও পুরুষ উভয়েরই যৌণ সক্ষমতা হ্রাস পায়। এমনকি তা গর্ভস্থ শিশুরও ক্ষতি করতে পারে। এদেশের সামাজিক প্রেক্ষাপটে ধূমপানের কারণে দাম্পত্য সমস্যাও দেখা যায়।
নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা গেলে বাহ্যিক অনেক কিছুই নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। শুরু হয় সাফল্যের জয়যাত্রা। বদঅভ্যাসের শৃঙ্খল থেকে মুক্তির মাধ্যমে আপনি ক্রমাগত সাফল্যের পথে অগ্রসর হবেন। বদলে যাবেন আপনি। ইতিবাচকভাবে বদলাতে থাকবে আপনার চারপাশ।
এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগে কিছু কার্যকর উপায।

ডিম কাদের জন্য উপকারী, কাদের জন্য ক্ষতিকারক?


সবার কাছে অতি পরিচিত খাদ্য ডিম। এটি পরিপূর্ণ পুষ্টিকর খাবার, যা শরীরের নানা উপকার ও স্বাস্থ্যের জন্য অতি উত্তম। ডিম নিয়ে আমাদের মাঝে নানা ভুল ধারণাও আছে। স্বাস্থ্যসচেতন মানুষ ডিম খাওয়া নিয়ে অনুমাননির্ভর দুশ্চিন্তায় ভোগেন। অনেকে মনে করেন, ডিমের কোলেস্টেরল হৃদরোগ, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ (স্ট্রোক) সৃষ্টি করে। আবার কেউ মনে করেন ডিম খেলে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপ্রেসার হয়। পেটে গ্যাস জমা হয়।
কিন্তু আসলে এসব ক্ষেত্রে ডিম কতটুকু দায়ী তা জানা দরকার। আর ডিম কাদের জন্য ক্ষতিকর এ সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকা দরকার। তা ছাড়া ডিমের উপাদান সম্পর্কে জানা থাকলে আমরা ডিমের মতো সুষম খাবার থেকে বঞ্চিত হবো না।
ডিম মুখরোচক, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন, কোলিন ও ভিটামিন সি ছাড়া অন্যান্য ভিটামিনে ভরপুর। ডিমের বাইরের শক্ত খোসা ছাড়া ভেতরের সব অংশই খাদ্য উপযোগী। একটি ডিমের গড় ওজন ৬০ গ্রাম প্রায়। পুুষ্টিমানের দিক দিয়ে হাঁস ও মুরগির ডিমের তেমন কোনো পার্থক্য নেই। দেশী ডিমের চেয়ে ফার্মের ডিমের পুষ্টিগুণ বেশি থাকে। তবে মুরগির ডিমের চেয়ে হাঁসের ডিমের পুষ্টিগুণ বেশি। কারণ হাঁসের ডিম মুরগির ডিমের চেয়ে বড়।

Saturday, 18 November 2017

Points Table - Bangladesh Premier League, 2017

Bangladesh Premier League, 2017 - Points Table

TeamsMatWonLostTiedNRPtsNRR
Dhaka Dynamites641019+3.350
Khulna Titans632017+0.945
Sylhet Sixers733017-0.722
Comilla Victorians431006+0.942
Rajshahi Kings624004-0.879
Chittagong Vikings614013-0.945
Rangpur Riders312002-0.536

মাটি কেটে ডাক্তার বানানো সেই মায়ের সন্তানের কৃতজ্ঞতাবোধ !

‘মাটি কেটে সন্তানকে ডাক্তার বানাচ্ছেন মা’ এমন একটি সংবাদ প্রকাশ হয় দেশের অন্যতম শীর্ষ অনলাইন নিউজপোর্টালে। এরপর দেশজুড়ে শুরু হয় ব্যাপক আলোচনা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ফলে সংবাদটি স্থান করে নেয় বিদেশেও। এরপর দেশ-বিদেশ থেকে অসংখ্য হৃদয়বান ব্যক্তি লেখাপড়াসহ সার্বিক সহযোগিতার প্রস্তাব দেন মায়ের সেই সন্তানকে।
ওই নিউজের পরিপ্রেক্ষিতে অনেকে ফেসবুকে বিরূপ মন্তব্যও করেছিলেন। লিখেছিলেন, ‘মা যে সন্তানের জন্য এত কিছু করছে শেষ পর্যন্ত সন্তান মাকে দেখবে তো’। আরো অনেক মন্তব্য। তবে এসবের সাবলীল জবাব দিয়েছেন সন্তান রিপন বিশ্বাস।
যখন থেকেই গ্রীণলাইফে ভর্তি হয়েছেন কলেজের যেকোনো অনুষ্ঠান হলেই মাকে সবার সামনের আসনে বসান এবং কখনো নিজের পরিচয় দিতে কৃপণতা করেননি যে তিনি গরিব ঘরের সন্তান। গর্বের সঙ্গে তিনি তার মাকে পরিচয় করে দেন তার বন্ধুদের সঙ্গে।
সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আর এতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন অনেক হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান। গণমাধ্যমে সংবাদও প্রকাশ হয়েছে ভর্তির টাকা জোগাড় করতে পারছে না অনেক ছাত্রছাত্রীর পরিবার। এসব সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর এগিয়ে এসেছেন দেশের অসংখ্য হৃদয়বান। তারা আর্থিক সহযোগিতা করায় ভর্তির সুযোগ হয়েছে তাদের।
সাহায্যকারী এসব মানুষের কৃতজ্ঞতা কি মনে থাকবে হতদরিদ্র পরিবারের ওই সন্তানদের? নাকি পড়ালেখার ব্যবস্থায় ভুলে যাবেন তারা। সাধারণ মানুষের এসব উদারতা থেকে কি কোনো শিক্ষা নেবেন তারা? এমন প্রশ্ন জন্মতেই পারে যে কারো মনে।
এসব বিষয় নিয়ে কথা হয় মানিকগঞ্জের সেই মায়ের সন্তান রিপন বিশ্বাসের সঙ্গে। যিনি অসংখ্য মানুষের সহযোগিতায় রাজধানীর গ্রীণলাইফ হাসপাতালে ডাক্তারি পড়ছেন। মনে রেখেছেন ওইসব মানুষকে, যারা সাহায্য করেছেন তাকে। আর এজন্য প্রতিনিয়ত শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন ওই মানুষগুলো। সেই হৃদয়বান মানুষগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে রিপন লিখেছেন, ‘তার গায়ের চামড়া দিয়ে তাদের জুতো বানিয়ে দিলেও ঋণ পরিশোধ হবে না।’
পাঠকের জন্য রিপন বিশ্বাসের সেই লেখাটি হুবহু প্রকাশ করা হলো।“আমি মো. রিপন বিশ্বাস। বর্তমানে আমি গ্রীণলাইফ মেডিকেল কলেজের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। এই পর্যায়ে আসতে পারবো তা কখনো আমি কল্পনাও করিনি। কিন্তু ধৈর্য, সততা আর ভাগ্য আমাকে নিয়ে এসেছে। আমি অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের সন্তান। কিন্তু পরিশ্রম আর ভাগ্য আমাকে আমার স্বপ্নের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে। এক সময় পড়াশুনার খরচ চালানোর জন্য অনেক মানুষের সাহায্য পেয়েছি। তারা আমার কাছে ভগবানতুল্য।
পাঁচ বছর বয়সে আমার বাবা মারা যান। তারপরও বাবার মতো আদর ভালোবাসা দিয়ে যিনি আমাকে সাহায্য করেছেন, তিনি আমার আদর্শ, যার ঋণ আমার গায়ের চামড়া দিয়ে জুতা বানিয়ে দিলেও শোধ করা সম্ভব নয়। তিনি হলেন প্রথম আলোর সাংবাদিক অরূপ রায়।
আমি পড়াশুনা সম্পর্কে যখন বুঝতে শিখেছি তখন আমার বয়স ছিল ১০ বছর। সবকিছু মিলিয়ে আমি অথৈ সমুদ্রে পড়ে গিয়েছিলাম। মেডিকেলে পড়া তো কখনো ভাবতেও পারিনি। আর তাই যারা মেডিকেলে পড়তে ইচ্ছুক তাদের সার্বিক নির্দেশনার জন্য নিজেই প্রতিষ্ঠা করেছি ‘আরবিসি একাডেমি’ যেখানে একজন মেডিকেল ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী তার সঠিক নির্দেশনা পাবে।
তাছাড়াও আমাকে আরো যারা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তাদের কথা আমি কোনো দিনও ভুলতে পারবো না। তাদের কাছে আমি চিরঋণী। তারা হলেন- অ্যাডভোকেট চাঁন মিয়া, প্রফেসর মাহফুজা খানম, ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ (আইনমন্ত্রী), ডা. আ ফ ম রুহুল হক (স্বাস্থ্যমন্ত্রী) ও এ বি এম. আনোয়ারুল হক (সাবেক সংসদ সদস্য মানিকগঞ্জ-১), ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল ইসলাম (এডুকেশন ফর অল), মিসেস বি. দাস (জোবেদা রহমান স্টাইপেন্ড ফান্ড), অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক (জজকোর্ট মানিকগঞ্জ), সাখাওয়াত স্যার, লিপি ম্যাডাম (সাংবাদিক প্রথম আলো), বি.এম. খোরশেদ (সাংবাদিক জাগোনিউজ), আখতারুজ্জামান মাসুদ (ইউপি চেয়ারম্যান) ও রঞ্জিত সরকার, ডা. খালেদা বেগম (সভাপতি, বঙ্গবন্ধু মহিলা পরিষদ)। এছাড়াও আমার ভর্তির পরে মেডিকেল কলেজের শিক্ষকবৃন্দ ও বন্ধুবান্ধব।
এক সময় আমি সবার কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে আজ এ পর্যন্ত এসেছি। যারা আমাকে আমার স্বপ্ন পূরণের সময় সাহায্য করেছেন হয়তো তারা আমার কাছে বিনিময়ে কিছুই চায় না। কিন্তু তাদের আদর্শ বুকে নিয়ে আমি অন্য মানুষের পাশে দাঁড়াবো। সবকিছু ঠিক থাকলে পাস করার অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আমার মায়ের নামে একটা হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করবো। যেখান থেকে গরিব ও দুস্থ মানুষ বিনা পয়সায় সেবা পাবেন। পূরণ হবে মায়ের স্বপ্ন।”-জাগো নিউজ