Thursday, 25 January 2018
ফাইনালের জন্য টাইগারদের দল ঘোষণা
ত্রিদেশীয় সিরিজে টানা ৩ ম্যাচে জয়ের পর চতুর্থ ম্যাচে এসে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে লজ্জাজনক পরাজয় বরণ করে টাইগাররা। এ ম্যাচে টাইগারাদের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের সমালোচনা করা হয়। অনেকেই মনে করেছিলেন মিডল অর্ডার থেকে বাদ পড়তে পারেন অনেকেই। শেষ ম্যাচের পরাজিত দলের সবাইকে রেখেই ফাইনালের জন্য ১৬ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বিসিবি। দলে রয়েছেন ইমরুল কায়েস। ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে স্কোয়াডে ছিলেন ওপেনার ইমরুল কায়েস। কিন্তু ইনজুরির কারণে তিনি খেলতে পারেননি। সিরিজের পরবর্তী দুই ম্যাচের স্কোয়াডে তাকে রাখা হয়নি। তবে, ফাইনাল ম্যাচের জন্য ঘোষিত ১৬ সদস্যের বাংলাদেশ দলে রয়েছেন এই টাইগার ওপেনার। মাঝে ত্রিদেশীয় সিরিজের স্কোয়াড থেকে বাদ পড়ার পর বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) ম্যাচ খেলেছেন ইমরুল কায়েস। প্রাইম ব্যাংক দক্ষিণাঞ্চলের হয়ে বিসিবি উত্তরাঞ্চেলের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেন তিনি। ম্যাচে ১১৮ রানের ইনিংস খেলেন ইমরুল। ত্রিদেশীয় সিরিজে তামিম ইকবালের সঙ্গে ওপেনিংয়ে সুবিধা করতে পারেননি এনামুল হক বিজয়। ফাইনাল ম্যাচে হয়তো তামিমের সঙ্গী হিসাবে ইমরুল কায়েসকে দেখা যেতে পারে। আগামী ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল। এই ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। চার ম্যাচের তিনটিতে জিতে ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে চার ম্যাচের দুটিতে জিতে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে শ্রীলঙ্কা। সমান ম্যাচের মাত্র একটিতে জিতে বিদায় নিয়েছে জিম্বাবুয়ে। ফাইনালের জন্য বাংলাদেশ দল
মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, এনামুল হক বিজয়, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, নাসির হোসাইন, সাব্বির রহমান, মোহাম্মদ মিথুন, মুস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন, আবুল হাসান রাজু, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, সানজামুল ইসলাম, ইমরুল কায়েস।
তথ্য সূত্র : http://bdexpress.uodoo.com
Monday, 22 January 2018
Friday, 19 January 2018
Tuesday, 16 January 2018
একটি মেয়ের আর্তনাদ! আমি স্মার্টফোন হবো || একটি শিক্ষনীয় গল্প
আমার স্ত্রী প্রাইমারি টিচার। রাতে ডিনারের শেষে আমার স্ত্রী ক্লাস ওয়ানের খাতা দেখছিলো। খাতা দেখতে
দেখতে আমার মিসেসের চোখ দুটো ছলছল করে করে উঠেছে। আমি কাছেই বসে টিভি দেখছিলাম।
মিসেসের দিকে নজর যাওয়াতে দেখি আমার স্ত্রী চোখের জল মুছছে। আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম কি
হয়েছে কাঁদছো কেনো!!! আমার মিসেস বললো.. ক্লাস ওয়ানের পরীক্ষায় এক রচনা এসেছে। "My wish"--
তো কাঁদার কি হলো!! --
সব খাতা গুলো দেখলাম। সবাই ভালো লিখেছে। --তো? --একজনের খাতা দেখে আর নিজেকে
সামলাতে পারলাম না। চোখ দুটো জলে ভরে উঠলো। --আচ্ছা বলো কি লিখেছে ওই বেবি। মিসেস রচনা পড়তে শুরু করলো.....
আমার ইচ্ছা আমি স্মার্টফোন হবো। আমার বাবা মা স্মার্টফোন খুব ভালোবাসে। কিন্তু আমায় ভালোবাসে না।
যেখানে যায় আমার বাবা তার স্মার্টফোন সঙ্গে করে নিয়ে যায়। কিন্তু আমায় সঙ্গে করে নিয়ে যায় না।
ফোন এলে আমার মা তাড়াতাড়ি গিয়ে ফোন ধরে। কিন্তু আমি কান্না করলেও আমার কাছে আসে না মা।
আমার বাবা স্মার্টফোনে গেম খেলে। কিন্তু আমার সাথে খেলে না। আমি বাবাকে বলি আমায় একটু কোলে নাও না
বাবা। কিন্তু বাবা আমায় কোলে নেয় না। স্মার্টফোনটাই সব সময় বাবার কোলে থাকে।
মা কে গিয়ে বলি, মা মা চলো না আমার সাথে একটু খেলবে। কিন্তু আমার মা আমার উপর রেগে গিয়ে বলে, দেখতে পাচ্ছিস না
আমি এখন তোর মামার সাথে চ্যাটে কথা বলছি। আমার বাবা মা রোজ স্মার্টফোন টাকে যত্ন করে মোছামুছি করে। কিন্তু আমায় একটুও আদর করে না। আমার মা যখন বাবার সাথে ফোনে কথা বলে তখন মা স্মার্টফোনে বাবাকে পাপ্পি
দেয়। কিন্তু আমায় একদিনও পাপ্পি দেয়নি মা। আমার বাবা মাথার কাছে স্মার্টফোন
নিয়ে ঘুমায়। কিন্তু আমায় কোনোদিনও জড়িয়ে ধরে ঘুমায় না। আমার মা রোজ চার পাঁচবার স্মার্টফোন
টিকে চার্জ দেয়। কিন্তু মাঝে মাঝে আমায় খাবার দিতে ভুলে যায় মা। কিন্তু স্মার্টফোন টিকে চার্জ দিতে ভুলে না
আমার মা। তাই আমি স্মার্টফোন হবো। আমার ইচ্ছা স্মার্টফোন হয়ে বাবা মায়ের সাথে সবসময় থাকতে চাই।
.
স্ত্রীর মুখে লেখাটি শোনার পর আমি খুব ইমোশনাল হয়ে স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলাম.. --কে লিখেছে এই রচনাটি ?
--আমাদের সন্তান। আমি স্তব্ধ হয়ে বসে রইলাম কিছুক্ষন। অনেক কিছুই ভেবে চলেছি। আমার আর আমার স্ত্রীর চোখে তখন জলের ধারা নামতে শুরু করেছে।
Monday, 15 January 2018
আকাশে তিনরঙা চাঁদ! ৩১ জানুয়ারি | ডেইলি সান
চন্দ্রগ্রহণের দিন এক সরলরেখায় আসে সূর্য, চাঁদ ও পৃথিবী। সূর্য আর চাঁদের মাঝে থাকে পৃথিবী। পৃথিবীর ছায়া চাঁদের উপর পড়ায় ঢাকা পড়ে যায় গোটা চাঁদ। পৃথিবী থেকে আর দেখা যায় না চাঁদকে। পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণের সময় সূর্যের আলো বাধা পায় পৃথিবীতে। ফলে তা চাঁদ পর্যন্ত এসে পৌঁছায় না। তখনই হয় পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ। আর এই এক রাতেই এবার আকাশে তিন রঙের চাঁদ দেখা যাবে। একসাথে দেখা যাবে ব্লু মুন, সুপারমুন এবং ব্লাড মুন। ১৫১ বছর অন্তর ঘটে এমন ঘটনা। আর বিরল ঘটনাটি ঘটবে চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি।
জানা গেছে, ৩১ জানুয়ারি হবে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ। কিন্তু সেদিন গ্রহণ ছাড়াও দেখা যাবে অভাবনীয় কিছু দৃশ্য। নাসা চাঁদের এই দুর্লভ রূপ বদলের নাম দিয়েছে সুপার ব্লু ব্লাড মুন। পূর্ণিমার চাঁদ যত বড় হয় তার থেকে ৭ শতাংশ বেশি বড় দেখাবে সেদিনের চাঁদকে। অন্যান্য পূর্ণিমার চাঁদের তুলনায় ৩০ শতাংশ বেশি উজ্জ্বলও হবে ওই সুপারমুন। এরপর যেটা লক্ষ্য করা যাবে তা হল, উজ্জ্বল এই সুপারমুনের রং হবে নীল। অর্থাৎ সুপারমুন হবে ব্লু মুন। তারপর দেখা যাবে ব্লাড মুন।
পৃথিবী চাঁদের তুলনায় বড় হওয়ায় গোটা চাঁদ পৃথিবীর ছায়ায় ঢাকা পড়ে যায়। শুধু লাল অংশ চাঁদে গিয়ে পড়ে। তখন চাঁদকে লালচে রঙের দেখতে লাগে। যাকে বলা হয় ব্লাড মুন। তবে সুপারমুন ও ব্লু মুন প্রায় সব জায়গা থেকে দেখা যাবে। ব্লাড মুন সবথেকে ভালো দেখা যাবে নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার কিছু অংশ এবং সেন্ট্রাল ও ইস্টার্ন এশিয়ার দেশগুলোতে। তবে আফ্রিকা এবং যুক্তরাষ্ট্রের এই বিরল দৃশ্য বেশিরভাগ জায়গাতেই দেখা যাবে না।
মুস্তাফিজ, তামিম, সাকিব আইপিএল এ কে কোন দলে খেলবে
স্পোর্টস ডেস্ক: ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) একাদশ আসরে নিলামে উঠছে বাংলাদেশের আট ক্রিকেটার। নিলামের দিনক্ষণ অিাসরে আগেই সাকিবকে দলে টানতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে দিল্লি। অন্যদিকে বাংলাদেশি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানকেও দলে টানতে চায় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি শুরু হতে যাওয়া আইপিএলের একাদশ আসরের নিলামের পর।
দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারকে দলে পেতে মরিয়া তারা। অন্যদিকে একাদশ আসরে কাটার মাস্টার মুস্তাফিজকে পেতে নিজেদের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের এক মুখপাত্রও।
নিলামের আগেই প্রায় সব দল কম্বিনেশন অনুযায়ী নিজেদের মতো করে খেলোয়াড় নির্ধারণ করে রাখছে। সেই হিসেবে সাকিবের সঙ্গে দিল্লির নজরে রয়েছে কুইন্টন ডি কক, গৌতম গম্ভীর, কেন উইলিয়ামসন ও প্যাট কামিন্সের দিকেও।
আরেক বাংলাদেশি ক্রিকেটার তামিম ইকবালের প্রতিও আগ্রহ প্রকাশ করেছে বেশ কয়েকটি ফ্র্যাঞ্চাইজি। তবে তামিমের বর্তমান পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে তাকে পেতে বেশ আগ্রহ দেখিয়েছেন কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের মালিক অভিনেত্রী প্রীতি জিনতা। তামিম এর আগে আইপিএলে পুনের দলে জায়গা পেয়েছিলেন তবে কোন ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি।
তবে আইপিলে দল পাওয়ার জন্য বর্তমানে বাংলাদেশে ত্রিদেশীয় সিরিজের পারফরম্যান্স অনেকটা গুরুতপূর্ন। ক্রিকেটাররা জিম্বাবুয়ে ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ভালো পারফরম্যান্সে তামিম, সাকিব ও মুস্তাফিজকে সহজেই আইপিএলে জায়গা করে দিতে পারে।
আইপিএলের নতুন আসরে ১ হাজার ১২২ জন ক্রিকেটারকে নিয়ে আগামী ২৭ ও ২৮ জানুয়ারি আইপিএলের একাদশ আসরের নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। সাকিব-মুস্তাফিজ-তামিম ছাড়া আইপিএলের নিলামে থাকা বাকি পাঁচ বাংলাদেশি ক্রিকেটার হলেন- মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, লিটন কুমার দাস, সাব্বির রহমান ও আবুল হাসান রাজু। এদের মধ্যে সাকিব-মুস্তাফিজের ভিত্তি মূল্য ধরা হয়েছে ১ কোটি রুপি।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস
Sunday, 14 January 2018
পোলট্রি শিল্পে সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত : টার্কি
টার্কি (Turkey) মেলিয়াগ্রিডিডিই পরিবারের এক ধরনের বড় আকৃতির পাখি বিশেষ। এগুলো দেখতে মুরগির বাচ্চার মতো হলেও তুলনামূলকভাবে অনেক বড়। বিশ্বের সর্বত্র টার্কি গৃহপালিত পাখিরূপে লালন-পালন করা হয়। এরা পরিবেশের সঙ্গে দ্রুত নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে। পালনের জন্য উন্নত অবকাঠামো দরকার হয় না । এরা প্রতিদিন মোট খাদ্যের ৫০-৬০ ভাগ নরম ঘাস খায়। তাই খাবার খরচ কম। রোগবালাই (বার্ড ফ্লু, গুটি বসন্ত, ঠাণ্ডাজনিত রোগ ছাড়া এখন পর্যন্ত এদের অন্য কোনো রোগ পরিলক্ষিত হয়নি) কম বলে চিকিৎসা খরচ কম। মাংস উৎপাদনের দিক থেকে খুবই ভালো (৬ মাস বয়সে ৫-৬ কেজি)। পাখির মাংস হিসেবে এটা মজাদার এবং কম চর্বিযুক্ত। তাই গরু বা খাসির মাংসের বিকল্প হতে পারে। আমাদের দেশে অনেকের ব্রয়লার মুরগির মাংসের ওপর অনীহা আছে। তাদের জন্য এটা হতে পারে প্রিয় খাবার। প্রোটিনের নতুন আরেকটি উৎস হিসেবে টার্কি হতে পারে বাণিজ্যের নতুন দিগন্ত।
টার্কি পাখি পরিচিতি : আমাদের দেশের অনুকূল আবহাওয়া ও পরিবেশে পশুপাখি পালন অন্যান্য দেশের তুলনায় সহজ। আবার কিছু প্রাণী আছে যারা দ্রুত পরিবেশের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে। আর টার্কি পাখি সে রকম একটি সহনশীল জাত, যে কোনো পরিবেশ দ্রুত এরা নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে। এরা বেশ নিরীহ ধরনের পাখি, মুক্ত অথবা খাঁচা উভয় পদ্বতিতে পালন করা যায়। ৬-৭ মাস বয়স থেকে ডিম দেয়া শুরু করে এবং বছরে ২-৩ বার ১০-১২টি করে ডিম দেয়। একটি মেয়ে টার্কির ৫-৬ কেজি এবং পুরুষ টার্কি ৮-১০ কেজি ওজন হয়। এদের মাংস উৎকৃষ্ট স্বাদের। ঘাস, পোকামাকড়, সাধারণ খাবার খেতে এরা অভ্যস্ত, তবে উন্নত খাবার দিলে ডিম ও মাংসের পরিমাণ বেশি পাওয়া যায়। ৪-৫ মাস বয়সের টার্কি ক্রয় করা ভালো, এতে ঝুঁকি কম থাকে এবং লিঙ্গ নির্ধারণ সহজ হয়, এরকম বয়সের এক জোড়া টার্কিও দাম হবে প্রায় ৪৫০০-৫০০০ টাকা। প্রথমে বাণিজ্যিকভাবে শুরু না করে ৮-১০ জোড়া দিয়ে শুরু করা ভালো, কারণ তাতে সুবিধা অসুবিধাগুলো নির্ণয় করা সহজ হয়।
রোগবালাই : টার্কি পাখির তেমন বড় কোনো রোগবালাই নেই। চিকেন পক্সের টিকা নিয়মিত দিলে এ রোগ এড়ানো সম্ভব। অতি বৃষ্টি বা বেশি শীতের সময় মাঝে মাঝে ঠা-াজনিত রোগ দেখা যায়, রেনামাইসিন জাতীয় ওষুধ দিলে ভালো ফল পাওয়া যায়। তবে নিয়োমিত টিকা দিলে এসব রোগ থেকে সহজেই টার্কিকে রক্ষা করা যায়।
টিকাপ্রদান সূচি : এক দিন বয়স- এনডি-বি১ স্ট্রেইন # ৪র্থ ও ৫ম সপ্তাহ- ফাউল পক্স # ৬ষ্ঠ সপ্তাহ - এনডি-(আর২বি); ৮-১০ সপ্তাহ - কলেরা ভ্যাকসিন
টার্কি পালনের সুবিধা
টার্কি পাখি পরিচিতি : আমাদের দেশের অনুকূল আবহাওয়া ও পরিবেশে পশুপাখি পালন অন্যান্য দেশের তুলনায় সহজ। আবার কিছু প্রাণী আছে যারা দ্রুত পরিবেশের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে। আর টার্কি পাখি সে রকম একটি সহনশীল জাত, যে কোনো পরিবেশ দ্রুত এরা নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে। এরা বেশ নিরীহ ধরনের পাখি, মুক্ত অথবা খাঁচা উভয় পদ্বতিতে পালন করা যায়। ৬-৭ মাস বয়স থেকে ডিম দেয়া শুরু করে এবং বছরে ২-৩ বার ১০-১২টি করে ডিম দেয়। একটি মেয়ে টার্কির ৫-৬ কেজি এবং পুরুষ টার্কি ৮-১০ কেজি ওজন হয়। এদের মাংস উৎকৃষ্ট স্বাদের। ঘাস, পোকামাকড়, সাধারণ খাবার খেতে এরা অভ্যস্ত, তবে উন্নত খাবার দিলে ডিম ও মাংসের পরিমাণ বেশি পাওয়া যায়। ৪-৫ মাস বয়সের টার্কি ক্রয় করা ভালো, এতে ঝুঁকি কম থাকে এবং লিঙ্গ নির্ধারণ সহজ হয়, এরকম বয়সের এক জোড়া টার্কিও দাম হবে প্রায় ৪৫০০-৫০০০ টাকা। প্রথমে বাণিজ্যিকভাবে শুরু না করে ৮-১০ জোড়া দিয়ে শুরু করা ভালো, কারণ তাতে সুবিধা অসুবিধাগুলো নির্ণয় করা সহজ হয়।
রোগবালাই : টার্কি পাখির তেমন বড় কোনো রোগবালাই নেই। চিকেন পক্সের টিকা নিয়মিত দিলে এ রোগ এড়ানো সম্ভব। অতি বৃষ্টি বা বেশি শীতের সময় মাঝে মাঝে ঠা-াজনিত রোগ দেখা যায়, রেনামাইসিন জাতীয় ওষুধ দিলে ভালো ফল পাওয়া যায়। তবে নিয়োমিত টিকা দিলে এসব রোগ থেকে সহজেই টার্কিকে রক্ষা করা যায়।
টিকাপ্রদান সূচি : এক দিন বয়স- এনডি-বি১ স্ট্রেইন # ৪র্থ ও ৫ম সপ্তাহ- ফাউল পক্স # ৬ষ্ঠ সপ্তাহ - এনডি-(আর২বি); ৮-১০ সপ্তাহ - কলেরা ভ্যাকসিন
টার্কি পালনের সুবিধা
- এদের মাংস উৎপাদন ক্ষমতা অনেক, টার্কি ব্রয়লার মুরগির থেকে দ্রুত বাড়ে;
- ঝামেলাহীনভাবে দেশি মুরগির মতো পালন করা যায়; অল্প পুঁজিতে একটি আদর্শ টার্কির খামার করা যায়;
- টার্কি পালনে তুলনামূলক খরচ কম, দানাদার খাদ্যের পাশাপাশি ঘাস, লতা-পাতা খেতেও পছন্দ করে;
- টার্কি দেখতে সুন্দর, তাই বাড়ির শোভাবর্ধন করে;
- টার্কির মাংসে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি, চর্বি কম। তাই গরু কিংবা খাসির মাংসের বিকল্প হতে পারে;
- টার্কির মাংসে অধিক পরিমাণ জিংক, লৌহ, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন ই ও ফসফরাস থাকে। এ উপাদানগুলো মানব শরীরের জন্য উপকারী এবং নিয়মিত এ মাংস খেলে কোলেস্টেরল কমে যায়;
- টার্কির মাংসে এমাইনো এসিড ও ট্রিপটোফেন অধিক পরিমাণে থাকায় এর মাংস শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়;
- অন্যান্য পাখির তুলনায় রোগবালাই কম এবং কিছু নিয়ম মেনে চললে খামারে ঝুঁকি অনেক কমে যায়;
- উচ্চমূল্য থাকায় খরচের তুলনায় আয় অনেক বেশি।
পালন পদ্ধতি : দুইভাবে টার্কি পালন করা যায়- ০১. মুক্ত চারণ পালন পদ্ধতি ও ০২. নিবিড় পালন পদ্ধতি
মুক্ত চারণ পালন পদ্ধতি
মুক্ত চারণ পদ্ধতিতে এক একর ঘেরা জমিতে ২০০-২৫০টি পূর্ণ বয়স্ক টার্কি পালন করা যায়। রাতে পাখিপ্রতি ৩-৪ বর্গফুট হারে জায়গা লাগে। চরে খাওয়ার সময় তাদের শিকারি জীবজন্তুর হাত থেকে বাঁচাতে হবে। ছায়া ও শীতল পরিবেশ জোগানর জন্য খামারে গাছ রোপণ করতে হবে। চারণভূমি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ব্যবহার করতে হবে এতে পরজীবীর সংক্রমণ কম হয়। সুবিধা : খাবারের খরচ ৫০ শতাংশ কম হয়; স্বল্প বিনিয়োগ : খরচের তুলনায় লাভের হার বেশি।
মুক্ত চারণ ব্যবস্থায় খাবার : টার্কি খুব ভালোভাবে আবর্জনা খুঁটে খায় বলে এরা কেঁচো, ছোট পোকামাকড়, শামুক, রান্নাঘরের বর্জ্য ও উঁইপোকা খেতে পারে, যাতে প্রচুর প্রোটিন আছে ও যা খাবারের খরচকে ৫০ শতাংশ কমিয়ে দেয়। এছাড়া শিম জাতীয় পশুখাদ্য যেমন লুসার্ন, ডেসম্যান্থাস, স্টাইলো এসব খাওয়ানো যায়। চরে বেড়ানো পাখিদের পায়ের দুর্বলতা ও খোঁড়া হওয়া আটকাতে খাবারে ঝিনুকের খোলা মিশিয়ে সপ্তাহে ২৫০ গ্রাম হিসাবে ক্যালসিয়াম দিতে হবে। খাবারের খরচ কম করার জন্য শাকসবজির বর্জ্য অংশ দিয়ে খাবারের ১০ শতাংশ পরিমাণ পূরণ করা যেতে পারে।
স্বাস্থ্য রক্ষা : মুক্তচারণ ব্যবস্থায় পালিত টার্কির অভ্যন্তরীণ (গোল কৃমি) ও বাহ্য (ফাউল মাইট) পরজীবী সংক্রমণের সম্ভাবনা অত্যন্ত বেশি থাকে। তাই পাখিদের ভালো বিকাশের জন্য মাসে একবার ডিওয়ার্মিং ও ডিপিং করা আবশ্যক।
নিবিড় পালন পদ্ধতি : বাসস্থান টার্কিদের রোদ, বৃষ্টি, হাওয়া, শিকারি জীবজন্তু থেকে বাঁচায় ও আরাম জোগায়। অপেক্ষাকৃত গরম অঞ্চলগুলোতে খামার করলে ঘরগুলো লম্বালম্বি পূর্ব থেকে পশ্চিমে রাখতে হবে। খোলা ঘরের প্রস্থ ৯ মিটারের বেশি হওয়া চলবে না। মেঝে থেকে ছাদ পর্যন্ত ঘরের উচ্চতা ২.৬ থেকে ৩.৩ মিটারের মধ্যে থাকতে হবে। বৃষ্টির ছাঁট আটকাতে ঘরের চালা এক মিটার বাড়িয়ে রাখতে হবে। ঘরের মেঝে সস্তা, টেকসই, নিরাপদ ও আর্দ্রতারোধক বস্তু যেমন কংক্রিটের হওয়া বাঞ্ছনীয়। কম বয়সি এবং প্রাপ্ত বয়স্ক পাখির ঘরের মধ্যে অন্তত ৫০ থেকে ১০০ মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং পাশাপাশি দুটি ঘরের মধ্যে অন্তত ২০ মিটার দূরত্ব থাকতে হবে। ডিপ লিটার পদ্ধতিতে টার্কি পালনের সাধারণ পরিচালনা ব্যবস্থা মুরগি পালনেরই মতো, তবে বড় আকারের পাখিটির জন্য যথাযথ বসবাস, ওয়াটারার ও ফিডারের জায়গার ব্যবস্থা রাখতে হবে।
সুবিধা : উন্নত উৎপাদন দক্ষতা; উন্নততর পরিচালন ও ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ।
নিবিড় পালন ব্যবস্থায় খাদ্য : নিবিড় পালন ব্যবস্থায় টার্কি মুরগিকে ম্যাশ ও পেলেট (ট্যাবলেট) দুইভাবেই খাবার দিতে হবে। মুরগির তুলনায় টার্কির শক্তি, প্রোটিন ও খনিজের প্রয়োজন বেশি। সেজন্য টার্কির খাবারে এগুলোর আধিক্য থাকতে হবে। খাবার মাটিতে না দিয়ে ফিডারে দিতে হবে। যেহেতু পুরুষ ও মাদির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় শক্তির (এনার্জি) পরিমাণ আলাদা, তাই ভালো ফল পাওয়ার জন্য তাদের পৃথকভাবে পালন করতে হবে। টার্কিদের সব সময় অবিরাম পরিষ্কার পানির প্রয়োজন। গ্রীষ্মকালে ওয়াটারারের সংখ্যা বাড়িয়ে দিতে হবে এবং আপেক্ষতৃক ঠাণ্ডা সময়ে খাবার দিতে হবে। পায়ের দুর্বলতা এড়াতে দিনে ৩০-৪০ গ্রাম হারে ঝিনুকের খোসার গুঁড়া দিতে হবে এবং খাবারে পরিবর্তন আনার প্রয়োজন হলে তা আস্তে আস্তে করতে হবে।
সবুজ খাদ্য : নিবিড় পদ্ধতিতে ড্রাই ম্যাশ হিসাবে মোট খাদ্যের ৫০ শতাংশ পর্যন্ত সবুজ খাবার দেয়া যায়। সব বয়সের টার্কির জন্য টাটকা লুসার্ন প্রথম শ্রেণীর সবুজ খাদ্য। এছাড়া খাবারের খরচ কম করার জন্য ডেসম্যান্থাস ও স্টাইলো কুচি করে টার্কিদের খাওয়ান যেতে পারে।
বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে টার্কি মুরগি পালন দিনে দিনে জনপ্রিয়তা অর্জন করছে। টার্কি বাণিজ্যিক মাংস উৎপাদনের জন্য খুবই উপযুক্ত কিন্তু বাণিজ্যিকভাবে ডিম উৎপাদনের জন্য উপযুক্ত নয়। তারা দেখতে খুব সুন্দর হয় এবং আপনার বাড়ির সৌন্দর্য বাড়াতে করতে সাহায্য করে। টার্কি মুরগি দ্রুত বড় হয়ে যায় এবং ব্রয়লার মুরগির মতো খাওয়ার উপযুক্ত হয়ে ওঠে। বাংলাদেশের আবহাওয়া অন্যান্য পরিস্থিতিতে টার্কি মুরগি পালনের জন্য খুবই উপযুক্ত। এগুলোর পালন মুরগির মতো খুব সহজ। বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে টার্কি পালন-ব্যবসা করে ভালো মুনাফা অর্জনের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। একটুখানি সচেতনতা, সরকারি গবেষণা এবং ক্রেতা-বিক্রেতার পারস্পরিক অংশগ্রহণে এ টার্কিই হয়ে উঠতে পারে আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যম এমনকি ব্যপক উৎপাদনের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের উপায়।
মুক্ত চারণ পালন পদ্ধতি
মুক্ত চারণ পদ্ধতিতে এক একর ঘেরা জমিতে ২০০-২৫০টি পূর্ণ বয়স্ক টার্কি পালন করা যায়। রাতে পাখিপ্রতি ৩-৪ বর্গফুট হারে জায়গা লাগে। চরে খাওয়ার সময় তাদের শিকারি জীবজন্তুর হাত থেকে বাঁচাতে হবে। ছায়া ও শীতল পরিবেশ জোগানর জন্য খামারে গাছ রোপণ করতে হবে। চারণভূমি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ব্যবহার করতে হবে এতে পরজীবীর সংক্রমণ কম হয়। সুবিধা : খাবারের খরচ ৫০ শতাংশ কম হয়; স্বল্প বিনিয়োগ : খরচের তুলনায় লাভের হার বেশি।
মুক্ত চারণ ব্যবস্থায় খাবার : টার্কি খুব ভালোভাবে আবর্জনা খুঁটে খায় বলে এরা কেঁচো, ছোট পোকামাকড়, শামুক, রান্নাঘরের বর্জ্য ও উঁইপোকা খেতে পারে, যাতে প্রচুর প্রোটিন আছে ও যা খাবারের খরচকে ৫০ শতাংশ কমিয়ে দেয়। এছাড়া শিম জাতীয় পশুখাদ্য যেমন লুসার্ন, ডেসম্যান্থাস, স্টাইলো এসব খাওয়ানো যায়। চরে বেড়ানো পাখিদের পায়ের দুর্বলতা ও খোঁড়া হওয়া আটকাতে খাবারে ঝিনুকের খোলা মিশিয়ে সপ্তাহে ২৫০ গ্রাম হিসাবে ক্যালসিয়াম দিতে হবে। খাবারের খরচ কম করার জন্য শাকসবজির বর্জ্য অংশ দিয়ে খাবারের ১০ শতাংশ পরিমাণ পূরণ করা যেতে পারে।
স্বাস্থ্য রক্ষা : মুক্তচারণ ব্যবস্থায় পালিত টার্কির অভ্যন্তরীণ (গোল কৃমি) ও বাহ্য (ফাউল মাইট) পরজীবী সংক্রমণের সম্ভাবনা অত্যন্ত বেশি থাকে। তাই পাখিদের ভালো বিকাশের জন্য মাসে একবার ডিওয়ার্মিং ও ডিপিং করা আবশ্যক।
নিবিড় পালন পদ্ধতি : বাসস্থান টার্কিদের রোদ, বৃষ্টি, হাওয়া, শিকারি জীবজন্তু থেকে বাঁচায় ও আরাম জোগায়। অপেক্ষাকৃত গরম অঞ্চলগুলোতে খামার করলে ঘরগুলো লম্বালম্বি পূর্ব থেকে পশ্চিমে রাখতে হবে। খোলা ঘরের প্রস্থ ৯ মিটারের বেশি হওয়া চলবে না। মেঝে থেকে ছাদ পর্যন্ত ঘরের উচ্চতা ২.৬ থেকে ৩.৩ মিটারের মধ্যে থাকতে হবে। বৃষ্টির ছাঁট আটকাতে ঘরের চালা এক মিটার বাড়িয়ে রাখতে হবে। ঘরের মেঝে সস্তা, টেকসই, নিরাপদ ও আর্দ্রতারোধক বস্তু যেমন কংক্রিটের হওয়া বাঞ্ছনীয়। কম বয়সি এবং প্রাপ্ত বয়স্ক পাখির ঘরের মধ্যে অন্তত ৫০ থেকে ১০০ মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং পাশাপাশি দুটি ঘরের মধ্যে অন্তত ২০ মিটার দূরত্ব থাকতে হবে। ডিপ লিটার পদ্ধতিতে টার্কি পালনের সাধারণ পরিচালনা ব্যবস্থা মুরগি পালনেরই মতো, তবে বড় আকারের পাখিটির জন্য যথাযথ বসবাস, ওয়াটারার ও ফিডারের জায়গার ব্যবস্থা রাখতে হবে।
সুবিধা : উন্নত উৎপাদন দক্ষতা; উন্নততর পরিচালন ও ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ।
নিবিড় পালন ব্যবস্থায় খাদ্য : নিবিড় পালন ব্যবস্থায় টার্কি মুরগিকে ম্যাশ ও পেলেট (ট্যাবলেট) দুইভাবেই খাবার দিতে হবে। মুরগির তুলনায় টার্কির শক্তি, প্রোটিন ও খনিজের প্রয়োজন বেশি। সেজন্য টার্কির খাবারে এগুলোর আধিক্য থাকতে হবে। খাবার মাটিতে না দিয়ে ফিডারে দিতে হবে। যেহেতু পুরুষ ও মাদির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় শক্তির (এনার্জি) পরিমাণ আলাদা, তাই ভালো ফল পাওয়ার জন্য তাদের পৃথকভাবে পালন করতে হবে। টার্কিদের সব সময় অবিরাম পরিষ্কার পানির প্রয়োজন। গ্রীষ্মকালে ওয়াটারারের সংখ্যা বাড়িয়ে দিতে হবে এবং আপেক্ষতৃক ঠাণ্ডা সময়ে খাবার দিতে হবে। পায়ের দুর্বলতা এড়াতে দিনে ৩০-৪০ গ্রাম হারে ঝিনুকের খোসার গুঁড়া দিতে হবে এবং খাবারে পরিবর্তন আনার প্রয়োজন হলে তা আস্তে আস্তে করতে হবে।
সবুজ খাদ্য : নিবিড় পদ্ধতিতে ড্রাই ম্যাশ হিসাবে মোট খাদ্যের ৫০ শতাংশ পর্যন্ত সবুজ খাবার দেয়া যায়। সব বয়সের টার্কির জন্য টাটকা লুসার্ন প্রথম শ্রেণীর সবুজ খাদ্য। এছাড়া খাবারের খরচ কম করার জন্য ডেসম্যান্থাস ও স্টাইলো কুচি করে টার্কিদের খাওয়ান যেতে পারে।
বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে টার্কি মুরগি পালন দিনে দিনে জনপ্রিয়তা অর্জন করছে। টার্কি বাণিজ্যিক মাংস উৎপাদনের জন্য খুবই উপযুক্ত কিন্তু বাণিজ্যিকভাবে ডিম উৎপাদনের জন্য উপযুক্ত নয়। তারা দেখতে খুব সুন্দর হয় এবং আপনার বাড়ির সৌন্দর্য বাড়াতে করতে সাহায্য করে। টার্কি মুরগি দ্রুত বড় হয়ে যায় এবং ব্রয়লার মুরগির মতো খাওয়ার উপযুক্ত হয়ে ওঠে। বাংলাদেশের আবহাওয়া অন্যান্য পরিস্থিতিতে টার্কি মুরগি পালনের জন্য খুবই উপযুক্ত। এগুলোর পালন মুরগির মতো খুব সহজ। বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে টার্কি পালন-ব্যবসা করে ভালো মুনাফা অর্জনের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। একটুখানি সচেতনতা, সরকারি গবেষণা এবং ক্রেতা-বিক্রেতার পারস্পরিক অংশগ্রহণে এ টার্কিই হয়ে উঠতে পারে আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যম এমনকি ব্যপক উৎপাদনের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের উপায়।
টার্কি পালন: অল্প সময়ে অধিক লাভ
দেশের বেকারত্ব নিরসনে নতুন দিক উন্মোচন করতে যাচ্ছে টার্কি পালন। যেখানে বাংলাদেশে বেকারত্বের হার ৪৬% সেখানে অল্প কিছু টাকা বিনিয়োগ করেই এক বছরের মধ্যেই দ্বিগুণ লাভের মুনাফা দেখতে পারছেন টার্কি খামারিরা। বাংলাদেশে টার্কি পালন নতুন হলেও অন্যান্য উন্নত দেশগুলোতে ব্যাপক হারে পালন করা হচ্ছে টার্কি। নতুন জন্ম নেয়া বাচ্চা কম সময়ের মধ্যে লালন পালন করেই মাত্র তিন মাসের মাথায় টার্কিগুলো দ্বিগুণের চেয়েও বেশি দামে বিক্রি করে বেশ ভালো মুনাফা দেখতে পারছেন টার্কি খামারিরা।
অংশীদারির ভিত্তিতে ২০১৬ সালের মে মাসে রাজধানীর দক্ষিণ মাণ্ডা এলাকায় ১৩৩টি টার্কি মুরগি নিয়ে খামার গড়ে তুলেন সেলিম মিয়া। খামারের নাম দেন কাঁশবন অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেড। সেলিমের পাশাপাশি আছেন আরও তিনজন অংশীদার। জমি নির্ধারণ, টার্কি বাচ্চা কেনাসহ অন্যান্য খরচ মিলিয়ে সর্বমোট বিনিয়োগ করছেন প্রায় ৮০ লাখ টাকা। তিলে তিলে গড়ে উঠা এই খামারে এখন টার্কি মুরগির সংখ্যা তিন হাজারেরও বেশি। একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর সপ্তাহজুড়ে বিক্রি করা হচ্ছে টার্কি।
কথা হয় কাঁশবন অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেডের ব্যবস্থাপক মো. আকরাম হোসেনের সাথে। তিনি ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আমরা গত বছর ভারত থেকে মাত্র ১৩৩টি টার্কি মুরগি নিয়ে টার্কি খামার গড়ে তুলি। এরপর এই বাচ্চার সংখ্যা দাঁড়ায় ৫৫০টি। তবে এখন পর্যন্ত ফার্মের মুরগির মতো একসঙ্গে দুই হাজার বা তার থেকেও বেশি বাচ্চা ফুটানোর মতো অবস্থা হয়নি টার্কির। আমি মনে করি টার্কি এখনো রাজখানার মধ্যে আছে। এটি এমন একটি মুরগি এটি কখনো ব্রয়লার কিংবা লেয়ার মুরগির মতো হবে না। তবে টার্কি যদি নিচের লেয়ারেও আসে তা একটা মানের মধ্যে থাকবে।’
টার্কির দরদাম
দামের ব্যাপারে আকরাম হোসেন বলেন, ‘আমরা যখন গত বছর কিনে এনেছিলাম তখন এর আরও অনেক দাম ছিল। তবে এখন খামারের সংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে এর দাম কিছুটা হলেও কমছে। তবে এই মুহূর্তে দাম কিছুটা বেশি। বছরে বেশ কয়েকবার এর দাম উঠানামা করে। এটি মূলত হয় বাজারের চাহিদা অনুযায়ী। এখন ১৫ দিন বয়সের একজোড়া্ টার্কির দাম এক হাজার ৫০০ টাকা থেকে শুরু। ৩০ দিনের বাচ্চার দাম তিন হাজার টাকা জোড়া। সাড়ে তিন মাস বয়সী জোড়া প্রতি টার্কি এখন পর্যন্ত নয় হাজার টাকায় বিক্রি করা সম্ভব। তবে এখন পূর্ণ বয়স্ক এক জোড়া টার্কি বিক্রি হচ্ছে ১৪ হাজার টাকায়। আর যেগুলো এখন ডিম পাড়ছে তাদের একটির দামই এখন ১০ হাজার টাকা।
এই টার্কি তিনি রাজধানীর বিভিন্ন চেইনশপ যেমন স্বপ্ন, অ্যাগোরা ও মিনা বাজারে বিক্রি করে দেন। সেখানে পূর্ণবয়স্ক প্রতি জোড়া টার্কি বিক্রি হয় ১৫ হাজার টাকারও বেশি দামে। সেখানে প্রতি টার্কির ওজন হয় সাড়ে ছয় থেকে সাড়ে আট কেজি পর্যন্ত। সেখানে প্রতিকেজি টার্কির মাংস পাওয়া যায় মানভেদে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকায়।’ তবে চাহিদার বাড়ার পাশাপাশি যোগান কম থাকায় চাইলেও বেশি টার্কি সরবরাহ করতে পারছেন না তারা।
টার্কির খাবার
খাদ্যের ব্যাপারে খামারের খাদ্য ব্যবস্থাপনায় দায়িত্বরত আশরাফ হোসেন ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘যেসব টার্কির বয়স ৪০ দিনের উপরে, তাদেরকে আমরা প্রতিদিন বিভিন্ন শাক সবজি খাওয়ানো শুরু করি। এই খাদ্যের তালিকায় থাকে কলমি, হেলেঞ্চা, সরিষা, পালংকসহ বিভিন্ন ধরনের শাক আমাদের তালিকায় থাকে। এই শাক সবজি খাওয়ানোর ক্ষেত্রেও আমরা মান রক্ষা করি। একটি নির্দিষ্ট কোয়ালিটি ছাড়া আমরা আমরা টার্কিকে কিছুই খাওয়াই না। ফলে খাদ্যে কোয়ালিটি থাকায় আমাদের খামারের টার্কিগুলোতে রোগ আঘাত আনতে পারে না। টার্কির যাতে রোগ বালাই আঘাত না করতে পারে সেই জন্য আমরা আড়াই মাস বয়সী টার্কিকে চারটি ভ্যাকসিন দিয়ে থাকি।’
‘আমাদের খামারে ঢুকতে হলে প্রত্যেকের ডেটল স্যাভলন দিয়ে রোগ জীবাণু মুক্ত হয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে হবে। পরতে হবে খামারের রোগ জীবাণুমুক্ত নিজস্ব জুতা। তবে টার্কির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অন্যান্য মুরগির চাইতে অনেক বেশি। দেখা যায়, বার্ড ফ্লু আঘাত হানলেই মুরগি সব মারা যায়। কিন্তু টার্কির কিছু হয় না। আমাদের দেশে অন্যান্য মহামারি রোগ যেমন রাণিক্ষেত হলে দেশের সব হাস মুরগি মারা যায়। কিন্তু টার্কির প্রতিরোধ ক্ষমতা এত বেশি যে এদের জ্বর-ঠান্ডা ছাড়া আর কোনো রোগ আক্রান্ত করতে পারে না।’
টার্কির উৎপাদন ক্ষমতা অনেক বেশি
অন্যান্য প্রাণীর তুলনায় টার্কির উৎপাদন ক্ষমতা অনেক বেশি। প্রতি ২০ সপ্তাহ বয়স থেকে টার্কি ডিম পাড়া শুরু করে। একটি নির্দিষ্ট সময় পর ১০০টি ডিম পাড়ে। ডিম পাড়ার মাত্র ২৮ দিনের মাথায় ডিম ফুটে বাচ্চা বের হওয়া শুরু করে। এই ব্যাপারে ব্যবস্থাপক আকরাম হোসেন বলেন, ‘আমাদের এখানে সাধারণত ২৬ সপ্তাহ বয়স থেকে টার্কিগুলো ডিম দেয়া শুরু করে। প্রয়োজনীয় আলো বাতাসের ব্যবস্থা থাকায় বছরে একেকটি টার্কি ৯০টিরও বেশি ডিম দিয়ে থাকে। তবে বেশিরভাগ টার্কি বিকাল থেকে সন্ধ্যায় ডিম দেয়।’
আকরাম জানান, তার খামারে প্রায় সব জাতের টার্কি রয়েছে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ব্ল্যাক, রাঙ্গিন সেট, স্লেট, ব্রোঞ্জ, রয়েল পাম্প ইত্যাদি। এর মধ্যে রয়েল পাম্পের দাম সবচেয়ে বেশি। যা বিক্রি হচ্ছে জোড়াপ্রতি ২০ হাজার টাকা। এগুলো আকারে বেশ বড় হয়ে থাকে।
বাসায় পালনের ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপক জানান, ‘টার্কি এখনো ঘরে পালার মতো যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। বাসার বাইরে কিংবা ছাদে পালনের ক্ষেত্রে প্রথমে একটি শেড বানাতে হবে। শেডের ভেতরে নরম ফোম দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। শীতপ্রধান দেশগুলোতে এদের আদি জন্ম থাকায় এরা সহজে গরম সহ্য করতে পারে না। তাই ফোম দিলে গরম কিছুটা কম লাগবে। আর যে কাজটি বেশি গুরত্বের সাহায্যে করতে হবে তা হলো জীবাণুমুক্ত রাখা। এর পাশাপাশি খাদ্যের জন্য রাখতে হবে কলমি, হেলেঞ্চা, সরিষা, পালংকসহ বিভিন্ন ধরনের শাক। আর বাৎসরিকভাবে রোগ থেকে মুক্ত রাখার জন্য প্রথম আড়াই মাসে চারটি ভ্যাকসিন দিয়ে রাখতে হবে। ভ্যাকসিন না দিলেও এর রোগ বালাই সহজে আক্রান্ত করতে পারে না। অর্থাৎ এই ব্যবস্থাগুলো গ্রহণ করলেই বাসার বাইরে কিংবা ছাদে সহজেই টার্কি পালন করা যাবে।
বেকারত্ব ঘোচাতে টার্কি পালন
এই ব্যবসায় আসার ব্যাপারে খামারের একাংশের মালিক সেলিম মিয়া ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আমার এই খামারের ব্যবসার পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকটি ব্যবসা রয়েছে। মূলত এই ব্যবসায় আসার পেছনে আমার শখ সবচেয়ে বেশি কাজে লেগেছে। আর যখন শুনতে পারলাম টার্কি পালনে অন্যান্য হাস মুরগি পালনের মতো কোনো ঝামেলা নেই তখন এই ব্যবসায় করার প্রতি আমার আগ্রহ অনেক বেড়ে গিয়েছিল। আর এই ব্যবসায় অনেক মুনাফা পাওয়া যায়। পূর্ণবয়সী একটা টার্কি আমাদের খামার থেকে বিক্রি হয় গড়ে আট হাজার টাকায়। যা আমাদের কেনা পড়েছিল মাত্র বারো’শ টাকা জোড়ায়। আর এগুলো খুব বাড়ন্ত স্বভাবের।
তিনি বেকার যুবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমি দুই একটি কথা বলতে চাই। আপনারা অল্প কিছু টাকা বিনিয়োগ করে এই টার্কি ব্যবসা গড়ে তুলুন। কারণ এইগুলোর রোগ, খাদ্য, বাসস্থানের জন্য বেশি অর্থ খাটানোর প্রয়োজন পড়ে না। অল্প কিছু জায়গায় টার্কি খামার দিলে আপনি বছর শেষে কয়েকগুণ বেশি লাভ করতে পারবেন।’
Saturday, 13 January 2018
#কিভাবে টার্কি মুরগি পালন করবেন -#মুরগি দিয়ে টার্কির ডিম ফুটানো পদ্ধতি |...
অধ্যাপক ড. সুবাস চন্দ্র দাস:
পোল্ট্রির ১১টি প্রজাতির মধ্যে টার্কি অন্যতম। বৈজ্ঞানিক নাম Meleagris gallopavo। এটি (Turkey) মেলিয়াগ্রিডিডিই পরিবারের এক ধরনের বড় আকৃতির পাখি বিশেষ। এগুলো দেখতে মুরগির বাচ্চার মতো হলেও আকারে তুলনামূলকভাবে অনেক বড়। বিশ্বের সর্বত্র টার্কি গৃহপালিত পাখিরুপে লালন-পালন করা হয়। পরিবেশের সঙ্গে দ্রুত নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে এবং পালনের জন্য উন্নত অবকাঠামো দরকার হয় না। টার্কি প্রতিদিন মোট খাদ্যের ৩০-৪০ ভাগ নরম ঘাস খায়, তাই খাবার খরচ কম। রোগবালাই কম বলে চিকিৎসা খরচ কম। মাংস উৎপাদনের দিক থেকে খুবই ভালো (আমাদের দেশে ৬ মাস বয়সে ৫-৬ কেজি)। পাখির মাংস হিসেবে এটা মজাদার এবং কম চর্বিযুক্ত। তাই গরু, খাসি, পোল্ট্রি ও দেশীয় হাঁস-মুরগির মাংসের পরিপূরক হতে পারে টার্কি।
টার্কি মূলত দুইভাবে পালন করা যায়-
১. মুক্ত চারণ পালন পদ্ধতি;
২. নিবিড় পালন পদ্ধতি।
১. মুক্ত চারণ পালন পদ্ধতি;
২. নিবিড় পালন পদ্ধতি।
মুক্ত চারণ পালন পদ্ধতি :
মুক্ত চারণ পদ্ধতিতে এক একর ঘেরা জমিতে ২০০-২৫০টি পূর্ণ বয়স্ক টার্কি পালন করা যায়। রাতে পাখিপ্রতি ৩-৪ বর্গফুট হারে জায়গা লাগে। চরে খাওয়ার সময় তাদের শিকারি জীবজন্তুর হাত থেকে বাঁচানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। ছায়া ও শীতল পরিবেশ জোগানের জন্য খামারে গাছ রোপণ করতে হবে। চারণভূমি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ব্যবহার করতে হবে এতে পরজীবীর সংক্রমণ কম হয়। এ পদ্ধতির সুবিধা হলো খাবারের খরচ প্রায় অর্ধেক কম লাগে যা স্বল্প বিনিয়োগে খরচের তুলনায় লাভের হার বেশি হয়।
মুক্ত চারণ পদ্ধতিতে এক একর ঘেরা জমিতে ২০০-২৫০টি পূর্ণ বয়স্ক টার্কি পালন করা যায়। রাতে পাখিপ্রতি ৩-৪ বর্গফুট হারে জায়গা লাগে। চরে খাওয়ার সময় তাদের শিকারি জীবজন্তুর হাত থেকে বাঁচানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। ছায়া ও শীতল পরিবেশ জোগানের জন্য খামারে গাছ রোপণ করতে হবে। চারণভূমি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ব্যবহার করতে হবে এতে পরজীবীর সংক্রমণ কম হয়। এ পদ্ধতির সুবিধা হলো খাবারের খরচ প্রায় অর্ধেক কম লাগে যা স্বল্প বিনিয়োগে খরচের তুলনায় লাভের হার বেশি হয়।
খাবার
মুক্ত চারণ পদ্ধতিতে টার্কি খুব ভালোভাবে আবর্জনা খুঁটে খায় বলে এরা কেঁচো, ছোট পোকামাকড়, শামুক, রান্নাঘরের বর্জ্য ও উঁইপোকা খেতে পারে। এগুলোত প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে যা খাবারের খরচকে প্রায় ৫০ শতাংশ কমিয়ে দেয়। এছাড়া শিম জাতীয় পশুখাদ্য যেমন- লুসার্ন, ডেসম্যান্থাস, স্টাইলো এসব খাওয়ানো যায়। চরে বেড়ানো পাখিদের পায়ের দুর্বলতা ও খোঁড়া হওয়া আটকাতে খাবারে ঝিঁনুকের খোলা মিশিয়ে সপ্তাহে ২৫০ গ্রাম হিসেবে ক্যালসিয়াম দিতে হবে। খাবারের খরচ কম করার জন্য শাকসবজির বর্জ্য অংশ দিয়ে খাবারের ১০ শতাংশ পরিমাণ পূরণ করা যেতে পারে।
মুক্ত চারণ পদ্ধতিতে টার্কি খুব ভালোভাবে আবর্জনা খুঁটে খায় বলে এরা কেঁচো, ছোট পোকামাকড়, শামুক, রান্নাঘরের বর্জ্য ও উঁইপোকা খেতে পারে। এগুলোত প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে যা খাবারের খরচকে প্রায় ৫০ শতাংশ কমিয়ে দেয়। এছাড়া শিম জাতীয় পশুখাদ্য যেমন- লুসার্ন, ডেসম্যান্থাস, স্টাইলো এসব খাওয়ানো যায়। চরে বেড়ানো পাখিদের পায়ের দুর্বলতা ও খোঁড়া হওয়া আটকাতে খাবারে ঝিঁনুকের খোলা মিশিয়ে সপ্তাহে ২৫০ গ্রাম হিসেবে ক্যালসিয়াম দিতে হবে। খাবারের খরচ কম করার জন্য শাকসবজির বর্জ্য অংশ দিয়ে খাবারের ১০ শতাংশ পরিমাণ পূরণ করা যেতে পারে।
স্বাস্থ্য রক্ষা
মুক্তচারণ ব্যবস্থায় পালিত টার্কির অভ্যন্তরীণ (গোল কৃমি) ও বাহ্য (ফাউল মাইট) পরজীবী সংক্রমণের সম্ভাবনা অত্যন্ত বেশি থাকে। তাই পাখিদের ভালো বিকাশের জন্য মাসে একবার ডিওয়ার্মিং ও ডিপিং করা আবশ্যক।
মুক্তচারণ ব্যবস্থায় পালিত টার্কির অভ্যন্তরীণ (গোল কৃমি) ও বাহ্য (ফাউল মাইট) পরজীবী সংক্রমণের সম্ভাবনা অত্যন্ত বেশি থাকে। তাই পাখিদের ভালো বিকাশের জন্য মাসে একবার ডিওয়ার্মিং ও ডিপিং করা আবশ্যক।
নিবিড় পালন পদ্ধতি
নিবিড় পালন পদ্ধতিতে টার্কির বাসস্থান এদের রোদ, বৃষ্টি, হাওয়া, শিকারি জীবজন্তু থেকে বাঁচায় ও আরাম জোগায়। অপেক্ষাকৃত গরম অঞ্চলগুলোতে খামার করলে ঘরগুলো লম্বালম্বি পূর্ব থেকে পশ্চিমে রাখতে হবে। খোলা ঘরের প্রস্থ ৯ মিটারের বেশি হওয়া চলবে না। মেঝে থেকে ছাদ পর্যন্ত ঘরের উচ্চতা ২.৬ থেকে ৩.৩ মিটারের মধ্যে থাকতে হবে। বৃষ্টির ছাঁট আটকাতে ঘরের চালা এক মিটার বাড়িয়ে রাখতে হবে। ঘরের মেঝে টেকসই, নিরাপদ ও আর্দ্রতারোধক বস্তু যেমন- কংক্রিটের হওয়া বাঞ্ছনীয়। কম বয়সি এবং প্রাপ্ত বয়স্ক পাখির ঘরের মধ্যে অন্তত ৫০ থেকে ১০০ মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং পাশাপাশি দুটি ঘরের মধ্যে অন্তত ২০ মিটার দূরত্ব থাকতে হবে। ডিপ লিটার পদ্ধতিতে টার্কি পালনের সাধারণ পরিচালনা ব্যবস্থা মুরগি পালনেরই মতো, তবে বড় আকারের পাখিটির জন্য যথাযথ বসবাস, ওয়াটারার ও ফিডারের জায়গার ব্যবস্থা রাখতে হবে।
নিবিড় পালন পদ্ধতিতে টার্কির বাসস্থান এদের রোদ, বৃষ্টি, হাওয়া, শিকারি জীবজন্তু থেকে বাঁচায় ও আরাম জোগায়। অপেক্ষাকৃত গরম অঞ্চলগুলোতে খামার করলে ঘরগুলো লম্বালম্বি পূর্ব থেকে পশ্চিমে রাখতে হবে। খোলা ঘরের প্রস্থ ৯ মিটারের বেশি হওয়া চলবে না। মেঝে থেকে ছাদ পর্যন্ত ঘরের উচ্চতা ২.৬ থেকে ৩.৩ মিটারের মধ্যে থাকতে হবে। বৃষ্টির ছাঁট আটকাতে ঘরের চালা এক মিটার বাড়িয়ে রাখতে হবে। ঘরের মেঝে টেকসই, নিরাপদ ও আর্দ্রতারোধক বস্তু যেমন- কংক্রিটের হওয়া বাঞ্ছনীয়। কম বয়সি এবং প্রাপ্ত বয়স্ক পাখির ঘরের মধ্যে অন্তত ৫০ থেকে ১০০ মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং পাশাপাশি দুটি ঘরের মধ্যে অন্তত ২০ মিটার দূরত্ব থাকতে হবে। ডিপ লিটার পদ্ধতিতে টার্কি পালনের সাধারণ পরিচালনা ব্যবস্থা মুরগি পালনেরই মতো, তবে বড় আকারের পাখিটির জন্য যথাযথ বসবাস, ওয়াটারার ও ফিডারের জায়গার ব্যবস্থা রাখতে হবে।
সুবিধা
উন্নত উৎপাদন দক্ষতা; উন্নততর পরিচালন ও ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ।
উন্নত উৎপাদন দক্ষতা; উন্নততর পরিচালন ও ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ।
নিবিড় পালন ব্যবস্থায় খাদ্য
নিবিড় পালন ব্যবস্থায় টার্কি মুরগিকে ম্যাশ ও পিলেট (ট্যাবলেট) দুইভাবেই খাবার দিতে হবে। মুরগির তুলনায় টার্কির শক্তি, প্রোটিন ও খনিজের প্রয়োজন বেশি। সেজন্য টার্কির খাবারে এগুলোর আধিক্য থাকতে হবে। খাবার মাটিতে না দিয়ে ফিডারে দিতে হবে। যেহেতু পুরুষ ও মাদিও ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় শক্তির (এনার্জি) পরিমাণ আলাদা, তাই ভালো ফল পাওয়ার জন্য তাদের পৃথকভাবে পালন করতে হবে। টার্কিদের সব সময় অবিরাম পরিষ্কার পানির প্রয়োজন। গ্রীষ্মকালে ওয়াটারারের সংখ্যা বাড়িয়ে দিতে হবে এবং আপেক্ষাকৃত ঠাণ্ডা সময়ে খাবার দিতে হবে। পায়ের দুর্বলতা এড়াতে দিনে ৩০-৪০ গ্রাম হারে ঝিঁনুকের খোসার গুঁড়া দিতে হবে এবং খাবারে পরিবর্তন আনার প্রয়োজন হলে তা আস্তে আস্তে করতে হবে।
নিবিড় পালন ব্যবস্থায় টার্কি মুরগিকে ম্যাশ ও পিলেট (ট্যাবলেট) দুইভাবেই খাবার দিতে হবে। মুরগির তুলনায় টার্কির শক্তি, প্রোটিন ও খনিজের প্রয়োজন বেশি। সেজন্য টার্কির খাবারে এগুলোর আধিক্য থাকতে হবে। খাবার মাটিতে না দিয়ে ফিডারে দিতে হবে। যেহেতু পুরুষ ও মাদিও ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় শক্তির (এনার্জি) পরিমাণ আলাদা, তাই ভালো ফল পাওয়ার জন্য তাদের পৃথকভাবে পালন করতে হবে। টার্কিদের সব সময় অবিরাম পরিষ্কার পানির প্রয়োজন। গ্রীষ্মকালে ওয়াটারারের সংখ্যা বাড়িয়ে দিতে হবে এবং আপেক্ষাকৃত ঠাণ্ডা সময়ে খাবার দিতে হবে। পায়ের দুর্বলতা এড়াতে দিনে ৩০-৪০ গ্রাম হারে ঝিঁনুকের খোসার গুঁড়া দিতে হবে এবং খাবারে পরিবর্তন আনার প্রয়োজন হলে তা আস্তে আস্তে করতে হবে।
সবুজ খাদ্য
নিবিড় পদ্ধতিতে ড্রাই ম্যাশ হিসাবে মোট খাদ্যের ৫০ শতাংশ পর্যন্ত সবুজ খাবার দেয়া যায়। সব বয়সের টার্কির জন্য টাটকা লুসার্ন প্রথম শ্রেণীর সবুজ খাদ্য। এছাড়া খাবারের খরচ কম করার জন্য ডেসম্যান্থাস ও স্টাইলো কুচি করে টার্কিদের খাওয়ানো যেতে পারে।
নিবিড় পদ্ধতিতে ড্রাই ম্যাশ হিসাবে মোট খাদ্যের ৫০ শতাংশ পর্যন্ত সবুজ খাবার দেয়া যায়। সব বয়সের টার্কির জন্য টাটকা লুসার্ন প্রথম শ্রেণীর সবুজ খাদ্য। এছাড়া খাবারের খরচ কম করার জন্য ডেসম্যান্থাস ও স্টাইলো কুচি করে টার্কিদের খাওয়ানো যেতে পারে।
টার্কি মুরগির বাচ্চা ও ডিম নিতে চাইলে আমাদের নিচের নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন।
আ: ছালাম , 01913288255, 01911570615
Friday, 12 January 2018
ইন্টারনেট বিক্রি করে গলাকাটা মুনাফা নয়: মোস্তাফা জব্বার
মন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর দেশের সর্বত্র সস্তায় নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চিত করাকে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। ইন্টারনেটের দাম কমানোকে নিজের নৈতিক দায়িত্ব বলেছেন তিনি। ইন্টারনেট বিক্রি করা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি সীমিত মুনাফা করে ‘গলাকাটা মুনাফা’ করার প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসারও আহ্বান তার।
সরকারের চার বছরপূর্তিতে ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের এগিয়ে যাওয়ার আরও চার বছর’ নামের বিশেষ সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মোস্তাফা জব্বার।
মন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের আগে থেকে সরকারের কাছে বারবার গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট সুলভ করার জোর দাবি জানিয়ে আসা ব্যক্তি তিনি। এখন নিজের হাতেই পেয়েছেন গুরুদায়িত্ব। এই দায়িত্ব নিয়ে ইন্টারনেটের দাম কমানোকে ‘নৈতিক দায়িত্ব’ জানিয়ে মোস্তাফা জব্বার বলেন: ডিজিটাল বাংলাদেশ সরকারের নয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নয়, মোস্তাফা জব্বার-জুনাইদ আহমেদ পলকের না, এই বাংলাদেশ নতুন প্রজন্মের। কারণ প্রধানমন্ত্রী দ্বিতীয় মেয়াদে ডিজিটাল বাংলাদেশ নতুন প্রজন্মের কাছে উৎসর্গ করেন।
এই নতুন প্রজন্মের ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য ইন্টারনেট হচ্ছে মহাসড়ক। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বাংলাদেশের জন্য সড়ক যোগাযোগ স্থাপন করছেন। কিন্তু জ্ঞান ভিত্তিক সমাজের জন্য আমরাও মহাসড়ক গড়তে চাই, এটা ইন্টারনেট মহাসড়ক, এটা ইট-কংক্রিটের নয়। এই মহাসড়ক গড়া আমার মন্ত্রণালয়ের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
এই ‘ইন্টারনেট মহাসড়কের’ জন্য তিনটি বিষয় জরুরি জানিয়ে মন্ত্রী বলেন: প্রথম বিষয়টি হলো ইন্টারনেটের গতি। ইন্টারনেটের গতি প্রয়োজন অনুযায়ী হতে হবে। আমরা এই গতি আনতে ফোরজি যুগে পা রাখতে যাচ্ছি। ফোরজি কার্যক্রম অব্যাহত আছে এবং থাকবে। তবে আমি বিশ্বাস করি কেবল মোবাইল ইন্টারনেট দিয়ে জনগণের ইন্টারনেট চাহিদা পূরণ করা যাবে না। এজন্য দরকার ব্রডব্যান্ড। বাড়ি বাড়ি ইন্টারনেট পৌঁছানোর পরিকল্পনা চলছে।
গলাকাটা মুনাফা নয়
আমাকে ধারণা দেয়া হয়েছিল সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি থেকে কোম্পানিগুলো প্রতি এমবিপিএস ৬২৫ টাকায় কিনে থাকে। আমি সাবমেরিন ক্যাবলের কোম্পানির সঙ্গে বৈঠক করে জানলাম চট্টগ্রাম থেকে ২০৪ টাকায় ব্যান্ডউইথ কিনছে কোম্পানিগুলো। ব্যান্ডউইথ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো কম দামে ব্যান্ডউইথ নিয়ে গ্রাহকদের কাছে বেশি দামে ডাটা বিক্রি করছে।
এমন অনৈতিকতার সমালোচনা করে তিনি বলেন: ব্যবসা মুনাফা করার জন্যই। যে দামে ব্যান্ডউইথ কিনছেন সেটার সঙ্গে মুনাফা, খরচ যোগ করেই দাম রাখুন। কিন্তু মুনাফা গলাকাটা হবে না।
শুক্রবার কর্মদিবস না হলেও কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে কর্মব্যস্ততা শুরু হয়। কারণ সরকারের ৪ বছর পূর্ণ হওয়া উপলক্ষে সকাল-সকাল নবনিযুক্ত মন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রী আসেন টাওয়ারের তৃতীয় তলার বিসিসি মিলনায়তনে।
এখানে সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে সরকারের বর্তমান মেয়াদে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিখাতে আইসিটি বিভাগের অর্জন এবং আগামীর পরিকল্পনাগুলো তুলে ধরতে মঞ্চে আসেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
ইন্টারনেটকে ডিজিটাল বাংলাদেশের মূল চারটি স্তম্ভের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ জানিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সবার জন্য সুলভমূল্যে দ্রুতগতির নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চিত করতে চায় সরকার। এজন্য গ্রাম পর্যন্ত ব্রডব্যান্ড সংযোগ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। দেশের সকল ইউনিয়নে হাইস্পিড ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের সংযোগ দেবে সরকার। ইনফো সরকার ৩ প্রকল্পের মাধ্যমে এই পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
দেশের ৫০ শতাংশ মানুষ এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। ২০২১ সালের মধ্যে সরকার শতভাগ মানুষকে ইন্টারনেটের আওতায় আনতে চায়। এজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরকার।
Source File : http://bdexpress.uodoo.com
আসছে আরেকটি ভয়াবহ শৈত্য প্রবাহ!
নিউজ ডেস্ক: কনকনে শীতে কাপছে পুরো দেশ। রাজধানীর চেয়ে গ্রামীণ জনপদে শীতের তীব্রতার সঙ্গে ঘন কুয়াশা আর উত্তরে শিরশিরে হাওয়ায় কাহিল অবস্থা জনজীবন। ৮ দিন ধরে দেশজুড়ে বইছে শৈত্যপ্রবাহ। এ সময় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছিল তেঁতুলিয়ায়।
মৃদু ও মাঝারী শৈত্য প্রবাহে অনেকটাই বিপর্যস্ত জনজীবন। শীতবস্ত্রের অভাবে কনকনে ঠাণ্ডায় ভুগছেন হতদরিদ্ররা। এদিকে, ঠাণ্ডাজনিত রোগ বালাইয়ে নাকাল শিশু ও বৃদ্ধরা। সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকে চারপাশ। শুক্রবার চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়ার স্বল্প মেয়াদী পূর্বাভাস বলছে, শীত আরো দুই দিন বাড়বে। জানুয়ারির শেষদিকে আসতে পারে আরেকটি শৈত্যপ্রবাহ। যা বয়ে যাবে ঢাকা, রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে।
জানুয়ারি মাসে সব মিলিয়ে দুই থেকে তিনটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এছাড়া, ফেব্রুয়ারি মাসে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। বৃষ্টির কারণে ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমদিকে একটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম বলেন, ১৪ জানুয়ারির পর কোথাও কোথাও রাতের তাপমাত্রা বেড়ে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতির দিকে যেতে পারে। মূলত ঘন কুয়াশার কারণে সূর্যের আলো আসতে পারছে না। বাংলাদেশের ভূখণ্ডে সূর্যের কিরণ আসতে পারছে না। এখানে ভূখণ্ড উত্তপ্ত হতে পারছে না। দিনের তাপমাত্রা প্রয়োজনমতো বাড়ছে না। বইছে উত্তর-পশ্চিমের হিমেল হাওয়া। তাই শীতের তীব্রতা কমছে না।
এমটি নিউজ/এপি/ডিসি
Tuesday, 9 January 2018
টুথপেস্টের এতো গুণ
সবার সকালের শুরুটা হয় ব্রাশ আর টুথপেস্ট দিয়ে। দাঁতের যত্নে টুথপেস্টের যেন কোনো বিকল্প নেই। তবে আশ্চর্যের বিষয় হলো শুধু দাঁতের যত্নে নয়, ব্রাশ করা ছাড়াও ত্বকের যত্ন থেকে শুরু করে ঘরের বিভিন্ন কাজে টুথপেস্ট ব্যবহার করা যায়।চলুন তাহলে এক নজরে দেখে নেয়া যাক টুথপেস্ট আমাদেরকী কী কাজে আসছে… • দেয়ালে রঙ লাগলে: দেয়ালে লেগে থাকা হাতের ছাপ, রঙ কিংবা মার্কারের দাগ তুলে ফেলার জন্য সেই দাগে পেস্ট লাগান এবং নরম ব্রাশ দিয়ে ঘষুন, দেখবেন দাগ উঠে যাবে। • কাপড়ের জুতা পরিষ্কার রাখতে: সাদা কাপড়ের জুতা খুব তাড়াতাড়ি ময়লা হয়ে যায়। তাই এটি ঝকঝকে রাখতে পেস্ট লাগিয়ে ব্রাশ দিয়ে ঘষে কিছুক্ষণের জন্য রেখে দিন এবং নরম ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন। জুতা নতুন লাগবে দেখতে। • হাত জলে গেলে: রান্না করতে গেলে গরম কিছুর ভাপ লাগলে বা মমের গালা হাতে পরলে পড়া স্থানে সঙ্গে সঙ্গে পেস্ট লাগান, জ্বলা কমে যাবে। • মরিচা দাগ দূর করে: বেসিন বা বাথরুমের মরিচা বা পানির দাগ পরিষ্কার করতে টুথপেস্ট লাগিয়ে একটু জোরে ঘষে নিন। দেখবেন ঝকঝক করছে। • হাতের দুর্গন্ধ দূর করে: হাতের থেকে কাঁচা মাছ-মাংস কিংবা রসুন বা পেঁয়াজের গন্ধ দূর করতে টুথপেস্টে হাতে ঘষে ধুয়ে নিন। গন্ধ চলে যাবে। • ম্যাচের কাঠি জ্বালাতে: ম্যাচের কাঠি পানিতে পড়ে ভিজে গেলে প্রথমে কাপড় দিয়ে কাঠি থেকে পানি শুষে নিন।ম্যাচের মুখে টুথপেস্ট লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর মুছে ফেলুন। এরপর স্বাভাবিকভাবে জ্বালান, জ্বলে উঠবে। • স্ক্রেচ দূর করতে: মোবাইল ফোনেরস্ক্রিন কিংবা কাঠের আসবাবপত্রের ওপর স্ক্রেচ পরলে টুথপেস্ট লাগিয়ে মুছে ফেলুন। দেখবেন দাগ হালকা হয়ে গেছে। • কাপড়ের দাগ দূর করতে: কাপড়ের মধ্যে রক্তের দাগ কিংবা চা-কফির দাগ লেগে গেলে দাগের ওপর টুথপেস্ট লাগিয়ে ঘোষুন এবং ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন দাগ চলে যাবে। • অলংকার পরিষ্কার করতে: হীরার অলংকার নতুনের মতো ঝকঝকে রাখতে টুথপেস্ট লাগিয়ে নরম ব্রাশ দিয়ে ঘষুন এবং ধুয়ে ফেলুন।
source file : http://bdexpress.uodoo.com
ত্রিদেশীয় সিরিজের ৩ দলের স্কোয়াড ও সময়সূচি
ঢাকা: চলতি মাসের ১৫ জানুয়ারি বাংলাদেশে বসতে যাচ্ছে ত্রিদেশীয় সিরিজ। স্বাগতিক বাংলাদেশের সাথে অপর দুই দল শীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ে। সিরিজটিকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে তিন দলই নিজেদের স্কােয়াড ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিবেন দলনেতা মাশরাফি বিন মুর্তজা, ত্রিদেশীয় সিরিজ দিয়ে শ্রীলঙ্কার একদিনের ফরম্যাটে অধিনায়কত্বে ফিরবেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ এবং জিম্বাবুয়েকে নেতৃত্ব দিবেন গ্রায়েম ক্রেমার। ঘরের মাঠে খেলা হলেও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ৭ জানুয়ারি ১৬ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করে। অন্যদিকে আজ (মঙ্গলবার) ১৬ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে শ্রীলঙ্কাও। তবে জিম্বাবুয়ের স্কোয়াডে ছিল ১৫ জন। এক নজরে যেমন হলো তিন দলের স্কোয়াড- বাংলাদেশ স্কোয়াড মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান (সহ-অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, এনামুল হক বিজয়, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাব্বির রহমান, নাসির হোসেন, মোহাম্মদ মিঠুন, মেহেদি হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, আবুল হাসান রাজু, মুস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন এবং সানজামুল ইসলাম। শ্রীলঙ্কা স্কোয়াড অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ (অধিনায়ক), উপুল থারাঙ্গা, দানুসকা গুনাথিলাকা, কুসাল মেন্ডিস, দিনেশ চান্ডিমাল, কুসাল পেরেরা, থিসারা পেরেরা, আসেলা গুনারত্নে, নিরোসান ডিকভেলা, সুরাঙ্গা লাকমাল, নুয়ান প্রদিপ, দাশমান্তথা চামিরা, শেহান মাদুশাঙ্কা, আকিলা ধনাঞ্জয়া, লাকসান সান্দাকান, ওয়িনিন্দু হাসারঙ্গা। জিম্বাবুয়ে স্কোয়াড গ্রায়েম ক্রেমার (অধিনায়ক), হ্যামিল্টন মাসাকাদজা, সলোমন মিরে, ক্রেইগ আরভিন, ব্রেন্ডন টেলর, সিকান্দার রাজা, পিটার মুর, ম্যালকম ওয়ালার, রায়ান মুরে (উইকেটরক্ষক), টেন্ডাই চিসোরো, ব্রেন্ডন মাভুতা, ব্লেসিং মুজারাবানি, ক্রিস্টোফার এমপোফু, টেন্ডাই চাতারা ও কাইল জার্ভিস। ত্রিদেশীয় সিরিজের সময়সূচি- তারিখ দল ভেন্যু ১৫.১.১৮ বাংলাদেশ বনাম জিম্বাবুয়ে শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম ১৭.১.১৮ শ্রীলঙ্কা বনাম জিম্বাবুয়ে শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম ১৯.১.১৮ বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম ২১.১.১৮ শ্রীলঙ্কা বনাম জিম্বাবুয়ে শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম ২৩.১.১৮ বাংলাদেশ বনাম জিম্বাবুয়ে শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম ২৫.১.১৮ বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম ২৭.১.১৮ ফাইনাল শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম উল্লেখ্য, ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলতে ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশে আসবে জিম্বাবুয়ে। ১৩ তারিখ ঢাকায় পৌঁছাবে শ্রীলঙ্কা দল। তিন দল একে অন্যের বিপক্ষে দুবার করে খেলে শীর্ষ দুই দল যাবে ফাইনালে। ২৭ জানুয়ারির ফাইনালসহ টুর্নামেন্টের সব খেলাই হবে মিরপুরে।
আমি ডাক্তার, আমার কাজ এগুলা করা; জোড় করে বিবস্ত্র করে….
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগের চিকিৎসক রিয়াদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী (১৭)।
গত সোমবার রাজধানীর শাহবাগ থানায় ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে মামলাটি করেন। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমনের সাধারণ নিবন্ধন শাখায় (জিআর) এই মামলার এজাহার আসে। এমন খবর দিয়েছে এনটিভি অনলাইন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, কিশোরী ওই ছাত্রীর বাড়ি ভোলা জেলায়। সে চর্মরোগে আক্রান্ত ছিল। গত বছরের ৬ অক্টোবর ভোলার যমুনা মেডিকেল সার্ভিসেসে ডাক্তার রিয়াদ সিদ্দিকীর কাছে ওই ছাত্রী তার চর্মরোগের সমস্যা নিয়ে পরামর্শ নিতে যায়। বিএসএমএমইউর ডাক্তার হলেও রিয়াদ সিদ্দিকী প্রতি শুক্রবার ভোলায় রোগী দেখতেন। ডাক্তার রিয়াদ প্রথম সাক্ষাতের সময় ওই কিশোরীকে বিবস্ত্র করে শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে মলম লাগিয়ে দেন। এ বিষয়ে কিশোরী প্রতিবাদ করলে ডাক্তার রিয়াদ বলেন, ‘আমি তোমার ডাক্তার। আমার কাজ এগুলা করা, আমি এগুলো করব।’ এ বলে ওই চিকিৎসক ছাত্রীর সব স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দেন এবং কাউকে কিছু বলতে বারণ করেন। এরপর ছাত্রী লজ্জায় কাউকে কিছু বলেনি।
এরপর গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর ওই ছাত্রী পুনরায় চিকিৎসা করাতে ডাক্তার রিয়াদের কাছে যায়। ওই দিন ডাক্তার রিয়াদ আবার জোড় করে বিবস্ত্র করেন এবং যৌন কাজে লিপ্ত হন। ওই ছাত্রী তখন চিৎকার করলে ডাক্তার ওড়না দিয়ে তার মুখ বেঁধে ফেলেন। ছাত্রীকে বিষাক্ত ইনজেকশন দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। এরপর ডাক্তার রিয়াদ ওই ছাত্রীর কিছু গোপনীয় ছবি তুলেন এবং তা ইন্টারনেটে তুলে দেওয়ার হুমকি দেন। সেই সঙ্গে ছাত্রীকে নিয়মিত তার কাছে আসতে বলেন। এরপর ডাক্তার বিভিন্ন সময়ে ওই ছাত্রীর মা-বাবাকে ফোন করে জানান, আপনার মেয়ের মরণব্যাধি রোগ হয়েছে। তাকে দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা নিতে হবে। এ ছাড়া ডাক্তার রিয়াদ সিদ্দিকী ওই ছাত্রীর মা-বাবাকে তাদের মেয়েকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেন।
গত ৩০ ডিসেম্বর ওই ছাত্রীর মা-বাবাকে ফোন দিয়ে ডাক্তার রিয়াদ বলেন, আপনার মেয়ের চিকিৎসার জন্য বোর্ড বসানো হবে। পরের দিন ৩১ ডিসেম্বর ছাত্রীর মা-বাবা মেয়েকে নিয়ে সকালে ঢাকায় আসেন এবং বিএসএমএমইউ হাসপাতালে এসে পৌঁছান।
এরপর ডাক্তার রিয়াদকে ফোন দিলে ওইদিন সকাল ১০টায় মা-বাবা হাসপাতালের বটগাছের সামনে দেখা করেন এবং বোর্ড বসিয়ে ডাক্তার দেখানো হবে বলে ক্যান্টিনে অপেক্ষা করতে বলেন। ডাক্তার রিয়াদ ওই ছাত্রীকে হাসপাতালের বি ব্লকে এক নির্জন স্থানে নিয়ে যান এবং ধর্ষণ করার চেষ্টা করেন। ওই ছাত্রী কান্নাকাটি করে এবং একপর্যায়ে পালিয়ে যায়। পরে এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে চিকিৎসক রিয়াদ সিদ্দিকীর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তা বন্ধ পাওয়া গেছে।
Source File : http://bdexpress.uodoo.com
Subscribe to:
Posts (Atom)